School: ছাত্র সংখ্যা ২০, কিন্তু মিড-ডে মিলের রান্না হচ্ছে দ্বিগুণ, বাকি খাবার খাচ্ছে কে?

School: জেলা কংগ্রেস নেতা তুষার গুহ বলেন, "এই সরকার আসার পর থেকেই শিক্ষা-স্বাস্থ্য সব ভেঙে পড়েছে। মিড ডে মিলের নামে টাকা নয়ছয় চলছে। ভাগ পায় উপর থেকে নিচে সকলে।"

School: ছাত্র সংখ্যা ২০, কিন্তু মিড-ডে মিলের রান্না হচ্ছে দ্বিগুণ, বাকি খাবার খাচ্ছে কে?
মিড মিল খাচ্ছে কে?Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 08, 2025 | 3:14 PM

উত্তর দিনাজপুর: স্কুলে ছাত্রছাত্রী নেই। অথচ মিড ডে মিলের তালিকায় শত শত নাম। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘি ব্লকের উত্তর কোচড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ঘিরে। জানা গিয়েছে, স্কুলে মোট নাম নথিভুক্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ৫৯৬ জনের। অথচ, প্রতিদিন গড় উপস্থিতি ২০ থেকে ৬০ জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তারপরও মিড ডে মিলের খাতায় দেখানো হয় ২৫০ থেকে ৪০০ জন উপস্থিত। কেন এমনটা?

স্কুলের এক শিক্ষক আব্দুল হালিম জানান, “আমি এই বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। শনিবার হঠাৎ করেই এসআই আসেন। তখন হঠাৎ পড়ুয়া বেড়ে গিয়েছিল। কীভাবে বলতে পারব না। তারপর আবার ডেকে আনা হয়েছিল ১৭০-১৮০ জন পড়ুয়াকে। আসলে প্রথমে কম পড়ুয়া আসে। পরে বেশি করে চলে আসে।” মিড ডে মিলের রাঁধুনী ফুলো হাজদার বলেন, “অনেকে ছাত্রই তো আসে। আসলে আমরা অনেক বেশি সংখ্যক পড়ুয়ার কথা মাথায় রেখেই রান্না করি।” স্কুল কর্তৃপক্ষের যদিও দাবি, ২৫০-৩০০ পড়ুয়া নিয়মিত আসে। স্কুলের টি.আই.সি পড়ুয়ার কম উপস্থিতির পেছনে দায় চাপান অভিভাবকদের উপরে। তাঁর কথায়, “অনেকেই আমাদের স্কুলে নাম নথিভুক্ত করিয়ে ছেলেমেয়েদের বেসরকারি স্কুল বা মাদ্রাসায় পাঠান। ফলে সরকারি স্কুল ফাঁকা পড়ে থাকে।”

এদিকে এই অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, “এই ৫৯৬ পড়ুয়ার স্কুলে আসে ১০ শতাংশেরও কম পড়ুয়া। অথচ রান্না হয় ৩৫০-৪০০ জনের জন্য। শুধু ওই স্কুল নয়, রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলেই এই দুর্নীতি চলছে। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।”

জেলা কংগ্রেস নেতা তুষার গুহ বলেন, “এই সরকার আসার পর থেকেই শিক্ষা-স্বাস্থ্য সব ভেঙে পড়েছে। মিড ডে মিলের নামে টাকা নয়ছয় চলছে। ভাগ পায় উপর থেকে নিচে সকলে।” তবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অরিন্দম সরকারের প্রতিক্রিয়া, “রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে দুর্নীতি সমাজের নানা স্তরে ঢুকে পড়েছে। যদি সত্যিই কেউ অনিয়ম করে থাকে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসন আগেই তদন্ত শুরু করেছে।”

যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরেও নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। সংসদের নাজিমুদ্দিন আলি বলেন, “আমরাও অভিযোগ পেয়েই এসআই কে পাঠিয়েছিলাম। তদন্তে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে ও নথি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”