
উত্তর দিনাজপুর: জেলা ছাড়ার আগে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ইতিমধ্যেই সেই সাংগঠনিক বৈঠক শুরু হয়েছে অভিষেকের নেতৃত্বে। আজ আজকের বৈঠকেও অনুপস্থিত আব্দুল করিম চৌধুরী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সফরের অষ্টম দিনে এসে এই প্রথম কোনও জেলায় সাংগঠনিক বৈঠক ডাকলেন। কিন্তু সেখানেও কি এড়ানো গেল না জেলা সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি? তৃণমূল সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকের ২৫ জনের তালিকায় নাম ছিল আব্দুল করিম চৌধুরীরও। তবু তিনি আসেননি বৈঠকে।
প্রসঙ্গত, এদিনের সাংগঠনিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেই দিকে যেমন নজর ছিল, তেমনই নজর ছিল আব্দুল করিম চৌধুরীর দিকেও। কারণ, এর আগে ইসলামপুরে অভিষেকের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন শাসক দলের নেতা আব্দুল করিম চৌধুরী। সেক্ষেত্রে আজকের জেলা সংগঠনের বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকেন কি না, সেই দিকে তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তিনি বৈঠকে আসেননি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে উত্তর দিনাজপুর জেলা বার বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। বিশেষ করে গত এক-দেড় মাস যাবৎ। চোপড়ায় গুলি কাণ্ড শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। শাসক শিবিরের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব থেকেই এই গুলি বলে অভিযোগ তুলছেন অনেকে। ইসলামপুরে করিমের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জের ঘটনা এবং তারপর সত্যজিৎ বর্মণের মৃত্যুর ঘটনা, একের পর এক ইস্যু লেগে রয়েছে এই জেলাকে ঘিরে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সাম্প্রতিক এই ঘটনা পরম্পরার কারণেই জেলা সফরে এসে সাংগঠনিক বৈঠক ডাকলেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, এদিনের সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিতির বিষয়ে আব্দুল করিম চৌধুরীর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তবে রবিবার তিনি ইসলামপুরের সভায় না থাকার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমি এখনও কোনো খবর পাইনি। আমি সিনয়র মোস্ট এমএলএ। পুলিশ সূত্রে জেনেছি অভিষেক আমার বাড়িতে আসতে পারেন। তবে এখনও দলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। আমাকে নিয়ে না গেলে যাব না।”