রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় আত্মসমর্পণ করলেন জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী। জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের ঘটনায় শনিবার রায়গঞ্জ সিজেএম আদালতে আত্মসর্মপণ করেন অভিযুক্ত উত্তর দিনাজপুর জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী তথা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর চৈতালি ঘোষ সাহা। এরপরই তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।
জানা গিয়েছে, চৈতালির বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা, অবৈধ জমায়েত-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে শিশুর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ চত্বর। অভিযোগ ওঠে, ওয়ার্ডে ঢুকে চড়াও হন রোগীর আত্মীয়রা। জুনিয়র ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলা, হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। তাতেই নাম জড়ায় পুরসভার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর চৈতালী ঘোষ সাহার।
পুলিশ এই মামলায় বৃহস্পতিবার রাতেই রোগীর পরিবারের দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। শুক্রবার ধৃতদের রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হয়। জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয়ে যায়। শনিবার আবারও তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়। শনিবার ধৃত দু’জনের পাশাপাশি চৈতালি ঘোষ সাহাও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এদিন তিনজনেরই জামিন মঞ্জুর হয় বলে সরকারি আইনজীবীরা জানান।
প্রসঙ্গত বৃৃহস্পতিবারের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দেন। জানিয়ে দেন, দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে হবে। সেই আবহে এবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন চৈতালি।
শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “রায়গঞ্জ হাসপাতালের ডাক্তাররা অভিযোগ করেছিলেন। ছোটন মণ্ডল ও জয়দেব বিশ্বাস নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় গতকাল। আজ আরেক অভিযুক্ত চৈতালি ঘোষ সাহা জামিনের পিটিশন দেন। সবপক্ষের সওয়াল জবাব শেষে জামিন পান।”