
চোপড়া: মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ছ’দিনের মাথায় শেষ হল লড়াই। সিপিএমের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, তাঁদের গুলিবিদ্ধ কর্মী মনসুর আলমের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। মনসুর চোপড়ার গেন্দাগছের বাসিন্দা। তিনি শিলিগুড়ির প্যারামাউন্ট নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। তাঁর দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হবে।
মনোনয়ন ঘিরে গত ১৫ জুন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। সকালে মিছিল করে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছিলেন বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থীরা। সঙ্গে ছিলেন দু’দলের কর্মী সমর্থকরাও। অভিযোগ, রাখালবাড়ি এলাকায় মিছিল পৌঁছতেই একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী হামলা চালায়। মিছিল থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুললে, ভিড়ের মাঝে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। যাঁরা গুলি চালাচ্ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের হাতে তৃণমূলের ঝান্ডা ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন গুলিবিদ্ধ হন তিন জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার মৃত্যু হয় মনসুরের। সিপিএমের নেতা বলেন, “আমাদের কর্মীরা কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে ছিলেন। আজ ভোরে মৃত্যু হয়। আমাদের শিলিগুড়ি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
চোপড়ার গুলিচালনার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। ধৃতদের মধ্যে অনেকে আবার দাবি করেছেন, সেদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিয়ে ফিরছিলেন। অশান্তির মাঝে পড়ে যান তিনি। চোপড়ার এই মৃত্যুর পর মনোনয়নে অশান্তিতে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৮।