উত্তর দিনাজপুর: এর আগেও একাধিকবার দলনেত্রীর নাম করে সরব হয়েছেন ইসলামপুরের (Islampur) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে আবারও সুর চড়ালেন শাসকদলের এই বর্ষীয়ান বিধায়ক। তাঁর কথায়, এই ভোটে ঠিক না থাকলে পরের ভোটে সমস্যায় পড়তে হবে পারে শাসকদলকে। আব্দুল করিমের কথায়, “২০১৮ সালের পঞ্চায়েতের সময় একটা আওয়াজ উঠে গেল, যা হয়েছে সব সন্ত্রাসের মাধ্যমে হয়েছে। মানুষ যাকে ভোট দিতে চেয়েছিল, দিতে পারেনি। অন্য পথে শাসকদল জিতেছে। তার প্রভাব পড়ল পরের ভোটে। ২০১৯ সালে লোকসভায় বিরোধীরা ২-৪টে আসন পেত। বাকিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই থাকতেন। অথচ বিজেপি ঢুকে পড়ল। কংগ্রেস পেল আসন।”
আব্দুল করিমের কথায়, ক্রিয়ার কিন্তু প্রতিক্রিয়া আছে। সেটা ভুললে চলবে না। এই ভোট ভালভাবে করালে পরের ভোটও ভালভাবে হবে। এখানে গোলমাল করলে পরেরটাতেও ভুগতে হবে। সুষ্ঠু ভোটই কাম্য। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “নেতারা যদি জেতার জন্য পাগলামি করেন, লোকে কিন্তু তা মানবে না।” ইসলামপুরে তিনটে জায়গায় ঝামেলার আশঙ্কা রয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে এখানে ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে আব্দুল করিমের মনে। হাইকোর্টের নির্দেশ তাই আসছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও পুলিশই লিড করবে বলে মত তাঁর। তাই আরও বেশি করে পুলিশ মোতায়েন করা দরকার ছিল বলে মত তাঁর।