কালিয়াগঞ্জ: প্রেমের প্রস্তাবের প্রত্যাখান। প্রতিবেশী মামার হাতে আক্রান্ত যুবতী। তাঁকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এমনকী ভেঙে দেওয়া হল যুবতীর দাঁতও। গুরুতর জখম অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ওই যুবতী।উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের।
আহত যুবতীর অভিযোগ, প্রতিবেশী ওই ব্যক্তি যাঁকে যুবতী মামা বলে ডাকে সে প্রায় সময় কুপ্রস্তাব দিতেন তাঁকে। যৌন হেনস্থাও করত বলে অভিযোগ। সেই কুপ্রস্তাব ও হেনস্থার প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে কাঠ দিয়ে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মারধরের কথা স্বীকার করলেও পাল্টা ওই যুবতী আগে মারধর করেছে বলে দাবি অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী।
নিগৃহীতা মহিলা বলেন, “পাড়ার মামা এসে আমায় কুপ্রস্তাব দিত। আমার মা ওদের বাড়িতে বললে ওর স্ত্রী বলে তোমার মেয়ে এতটাও সুন্দরী নয় যে আমার বর ডিস্টার্ব করবে। যদি করেও থাকে এমনকী মহাভারত অসুদ্ধ হয়েছে। আমি প্রধানকে বলি। উনি আবার বলে এগুলো কাউকে বলো না নিন্দা হবে। এরপর আজ যখন প্রতিবাদ করি তখন আমায় মারধর করেছে। আমার দাঁত ভেঙে দিয়েছে।” অভিযুক্তের মা বলেন, “ওরা এসেছিল ঝামেলা করতে। আমার ছেলে বসেছিল। ওকে জুতো দিয়ে মেরেছে। যদি মারধর করে কী করবে আমার ছেলে।”
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী বলেন, “দুই পক্ষের ঝামেলা বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল। আমি দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলাম। তবে মারধরের ঘটনায় যদি ওই যুবক যুক্ত থাকে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের ওই যুবতীর। তদন্তে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ।”