বীরভূম: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) হাত থেকে রাস্তা ফেরত নেওয়ার পর থেকেই ফের রাস্তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হল বিশ্বভারতী চত্বরে। সূত্রের খবর, এদিন দুপুর নাগাদ সঙ্গীত ভবনের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। যা নিয়ে স্থানীয় আবাসিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে পাঁচিল তুলে যে রাস্তা বন্ধ করার কাজ শুরু হয়েছিল তা এদিন আটকে দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী রাস্তা ফেরত নেওয়ার ঠিক পরেই বিশ্বভারতীর তরফে দমকল অফিসের পাশে শান্তিকেতন দুরদর্শন কেন্দ্রের সামনের রাস্তা (লালপুল মেন রোডে ওঠার শর্টকাট) বন্ধ করে দেওয়া হয়। যা নিয়ে বিতর্ক বাঁধে।
এরই মাঝে এদিন বিশ্বভারতী যে পাঁচিল তুলে রাস্তা মূল বন্ধ করছে, সেই পাঁচিল তোলার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন খোদ জেলাশাসক বিজয় ভারতী। পাঁচিল তৈরির জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন পুলিস সুপার শ্যাম সিং। একই সঙ্গে সেখানে পুলিস পিকেট বসানোর ব্যবস্থাও করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জেলাশাসক জানান, “বিশ্বভারতীর উপাচার্যর সঙ্গে বৈঠকে বসে আমিও জানতে চাইব বন্ধ করার উদ্দেশ্য কী। এতে তো সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বেন। এখানে এসে দেখছি পাকা রাস্তা মাঝে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে একটি মধ্যস্থতার জায়গায় আসতে হবে। যখন মানুষ ৫০ বছর ধরে একটা রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন তখন হঠাৎ করে তা বন্ধ করা যায় না।”
আরও পড়ুন: আজই বিজেপিতে ভাই সৌমেন্দু, সোনাচূড়ার মঞ্চে সদর্পে ঘোষণা শুভেন্দুর
এই রাস্তা সংক্রান্ত একটি মামলা এখনও আদালতে রয়েছে। আদালত জানিয়েছে আপাতত রাস্তা বন্ধ করা যাবে না। আদালত কোনও রায় দেওয়ার আগেই কেন তা বন্ধ করা হচ্ছে এই নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তেমনই স্থানীয় আবাসিকদেরও যাতায়াতের ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বর্ষবরণের পার্টিতে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু যুবকের, চাঞ্চল্য পর্ণশ্রীতে