AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আদালতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বন্ধ করা হল বিশ্বভারতীর রাস্তা, ‘উপাচার্য সেলফিশ জায়েন্ট’, তোপ তৃণমূলের

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপাচার্যের খামখেয়ালিপনায় রীতিমতো সমস্যার মুখে পড়ছেন তাঁরা। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্বেও কেন বন্ধ করে রাখা হচ্ছে রাস্তা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

আদালতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বন্ধ করা হল বিশ্বভারতীর রাস্তা, 'উপাচার্য সেলফিশ জায়েন্ট', তোপ তৃণমূলের
নিজস্ব ছবি
| Updated on: Mar 19, 2021 | 5:08 PM
Share

বীরভূম: সম্প্রতি, বিশ্বভারতী (Visva Bharati University) বন্ধ করার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অধুনা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এ বার আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সেন্ট্রাল অফিস থেকে শান্তিনিকেতন থানার সংযোগকারী রাস্তা বন্ধ করে ফের বিতর্কের শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপাচার্যের (Vice Chancellor) খামখেয়ালিপনায় রীতিমতো সমস্যার মুখে পড়ছেন তাঁরা। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন বন্ধ করে রাখা হচ্ছে রাস্তা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

উল্লেখ্য, গত বছর, বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দিয়ে ঘেরাও করাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ভেঙে দেওয়া হয়েছিল সেই পাঁচিলও। বিক্ষোভের অনতিপরেই আদালতের নির্দেশে গড়ে ওঠে একটি কমিটি। সেই কমিটির নির্দেশেই নিরপত্তার খাতিরে ‘বলাকা’ ও ‘পূরবী’-তে দুটি গেট তৈরি করা হয়। বলা হয়েছিল গেট দুটি সাধারণ মানুষের জন্য খোলা রাখতে হবে। কারণ, ওই রাস্তাটি বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিস ( Visva Bharati Central office) থেকে শুরু করে শান্তিনিকতন (shantiniketan) থানা হয়ে বোলপুর মেইন রোড পর্যন্ত গিয়েছে।

এত দিন বলাকা ও পূরবীর দুটি মূল ফটক বন্ধ থাকলেও সেই সংলগ্ন রাস্তা দুটি খোলা ছিল। যেখান থেকে সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে, বাইক বা সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতে পারতেন। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই দুটি রাস্তা। ফলে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। একমাত্র পড়ুয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ছাড়া আর কেউই ওই রাস্তা ব্যবহার করতে পারছেন না। বোলপুরের মেইন রোড যেতে গেলে স্থানীয়দের প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা অতিরিক্ত ঘুরতে হচ্ছে। যারপরনাই এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীও। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের অভিযোগ, উপাচার্যের এই খামখেয়ালিপনায় বিরক্ত সাধারণ মানুষ। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেতা চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্য আসলে সেলফিশ জায়েন্ট। নিজেরটা ছাড়া কিছুই ভাবেন না। এর আগেও অনেক উপাচার্য এসেছেন। কিন্তু কেউ এমন আপন মর্জির মালিক হয়ে যা নয় তাই করেননি।’ উল্লেখ্য, বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ বা কাচমন্দির সংলগ্ন রাস্তাটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সে বারেও আমজনতার সমস্যা তৈরি হওয়ায় বিশেষ পদক্ষেপ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তা পুনরায় ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এরপরেই ঐতিহ্যবাহী উপাসনাগৃহ, রবীন্দ্রভবন, কলাভবন প্রভৃতির সামনে দিয়ে যাওয়া রাস্তা নিজেদের হেফাজতে নেয় রাজ্য সরকার। পূর্ত দপ্তরের (PWD) তরফে বোর্ড লাগিয়ে রাস্তার দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়।

আরও পড়ুন: গোপনে পালিত হচ্ছে বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব? মুখে কুলুপ কর্তৃপক্ষের