AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Raju Jha Murder Case: সাদা কাপড়ে ঢাকা রাজু ফিরতেই কান্নার রোল দুর্গাপুরের বাড়িতে

Durgapur: শনিবার রাতে সেই দুর্গাপুর থেকেই শক্তিগড় হয়ে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন রাজু ঝা। ল্যাংচা হাবের সামনে আততায়ীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তাঁর বুক।

Raju Jha Murder Case: সাদা কাপড়ে ঢাকা রাজু ফিরতেই কান্নার রোল দুর্গাপুরের বাড়িতে
| Edited By: | Updated on: Apr 03, 2023 | 1:04 AM
Share

দুর্গাপুর: রবিবার রাতেই কয়লার কারবারি রাজেশ ওরফে রাজু ঝায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। এদিন দুপুরের পরই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Purba Burdwan) হাসপাতালের মর্গ থেকে রাজুর দেহ নিয়ে দুর্গাপুরের বাড়িতে পৌঁছে যান আত্মীয়রা। কড়া নিরাপত্তায় শববাহী শকটে করে দেহ পৌঁছয় দুর্গাপুরের বিধাননগর এলাকায়। সেখানেই রাজুর বিলাসবহুল বাড়ি। সামনে বিশাল গেট। সেই গেট দিয়ে বাড়ির একেবারে ভিতরে ঢুকে যায় শকট গাড়ি। ভিতরে একেবারে হাতে গোনা কয়েকজনের প্রবেশের অনুমতি। গেটের বাইরে তখন উপচে পড়ছে ভিড়। গেট ঠেলে বাড়ির ছেলের দেহ পৌঁছতেই ঘরের ভিতর থেকে কান্নার রোল ওঠে। কোনও এক মহিলা কন্ঠ চিৎকার করে কেঁদে চলেন। রাজুর দেহের উপর পড়ে অনবরত কেঁদে চলেন এক বয়স্ক মহিলা। হতে পারেন তিনি রাজুর মা। জানা যায়নি পরিচয়। তবে অনবরত মাথা চাপড়ে কেঁদে চলেছেন। আলুথালু চুল। পাশে দাঁড়িয়ে এক তরুণও বারবার চোখ মুছছেন, নিজেই নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছেন।

বিধাননগরে রাজু ঝায়ের বাড়ি। সেখানে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন রাজু। বিহারে তাঁর বাড়ি। তবে যখন বেআইনি কয়লার কারবারে যুক্ত, তখন রানিগঞ্জে ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ২০১১ সালের পর থেকেই একাধিকবার জেলে যেতে হয় তাঁকে। এরপর ধীরে ধীরে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে পরিবহণ ব্যবসা শুরু করেন। এছাড়াও ব্র্যান্ডের রেডিমেড পোশাকেরও ব্যবসা শুরু করেন। সঙ্গে হোটেল ব্যবসাও যুক্ত হয়। ততদিনে আসানসোলের রানিগঞ্জ ছেড়ে দুর্গাপুরের বিধাননগরে বাড়ি তৈরি করে পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন।

শনিবার রাতে সেই দুর্গাপুর থেকেই শক্তিগড় হয়ে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন রাজু ঝা। ল্যাংচা হাবের সামনে আততায়ীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তাঁর বুক। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের পর রবিবার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, তাঁর শরীরে ৬টি বুলেট লাগে। রাজুর খুনের ঘটনার পরতে পরতে রহস্য। তদন্তে গঠিত হয়েছে ১২ সদস্যর সিট। রাজ্য পুলিশ তা গঠন করেছে।