Corona Update: খড়্গপুর IIT-তে কোভিড সংক্রমণ, আক্রান্ত বাংলার এক চিকিৎসক দম্পতিও

Corona Update: হাসপাতালেও চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার করা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Corona Update: খড়্গপুর IIT-তে কোভিড সংক্রমণ, আক্রান্ত বাংলার এক চিকিৎসক দম্পতিও
ফাইল ছবিImage Credit source: PTI

May 29, 2025 | 3:17 PM

মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া: দিল্লি, মুম্বই, কেরলের পর বাংলাতেও একে একে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। কলকাতায় আগেই খোঁজ মিলেছে দুই করোনা আক্রান্তের। এবার একাধিক জেলা থেকেও আসছে আক্রান্ত হওয়ার খবর। সংক্রমণের খবর মিলেছে খড়্গপুর আইআইটি-তে। তড়িঘড়ি সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক দম্পতি।

খড়্গপুর আইআইটি-তে এক পড়ুয়ার করোনা আক্রান্ত খবর পাওয়া গিয়েছে। বছর ২৬-এর ওই পড়ুয়া কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই পড়ুয়াকে ভর্তি করা হয়েছে আইআইটি খড়্গপুরের বিসি রায় হাসপাতালে।

বুধবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বেশ কিছু উপসর্গ থাকায়, মঙ্গলবারই ওই পড়ুয়ার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জানা গিয়েছে, জ্বর, সর্দি-কাশি, গন্ধ না পাওয়া সহ একাধিক উপসর্গ ছিল ওই পড়ুয়ার। এরপরই কোভিড টেস্ট করা হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, “আমাদের কাছেও খবর পৌঁছেছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে, দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যাপক দম্পত্তি। পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে নিজের আবাসনেই আইসোলেশনে রয়েছেন ওই দম্পত্তি।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই দম্পতি দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরেই তাঁদের জ্বর আসে, গা-হাত-পা ব্যাথা শুরু হয়। তারপর র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পর প্রাথমিকভাবে কোভিড সংক্রমণ ধরা পরে। আপাতত আইসোলেশনে রয়েছেন ওই দম্পতি।

এরপর ওই হাসপাতালেও চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার করা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দেবব্রত সরকার ও তপন হালদারের রিপোর্ট