AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি, ফের আহত চিতাবাঘ

মালবাজার কলেজ, বানারহাটের পর এবার রাঙামাটি চা বাগান, ফের আহত চিতাবাঘ

অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি, ফের আহত চিতাবাঘ
আহত চিতা, নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Feb 10, 2021 | 7:18 PM
Share

জলপাইগুড়ি: দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় ফের আহত চিতাবাঘ (Cheetah)। মঙ্গলবার রাতে মালবাজারের রাঙামাটি চা বাগানের কাছে ঘটনাটি ঘটে।

বন দফতর সূত্রে খবর, গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘটি (Cheetah) আহত হয়ে ঝোপে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকেই চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে মালবাজার স্কোয়াড। ঘটনাস্থলে ছুটে যান জলপাইগুড়ির এডিএফও রেহা গাঙ্গুলি এবং পশু চিকিৎসক স্বেতা মণ্ডল। এরপর, রাত ১২ টা নাগাদ চিতাবাঘটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করা হয়, চলে চিকিৎসাও।

রাতেই, প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিতাবাঘটিকে লাটাগুড়ি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সুস্থ হলেই সেটিকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হবে।

আরও পড়ুন: সকালে চা-বাগানে হঠাৎ হুঙ্কার, বন দফতরের ফাঁদে ধরা পড়ল আরও এক পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ

উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে মালবাজার কলেজের সামনে একটি চিতাকে গাড়ি ধাক্কা মারে। ৩ জানুয়ারি, বানারহাট এলাকাতেও একই ঘটনা ঘটে। বারবার এইভাবে জঙ্গল ঘেঁষা এলাকায় বন্যপ্রাণীদের জখম হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। বন দফতরের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেন গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, তা নিয়েও উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।

বন্য প্রাণীদের বিপন্নাবস্থা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে পরিবেশ প্রেমীদের মধ্যে। ডুয়ার্স নেচার অ্যান্ড স্নেক লাভার্স অর্গানাইজেশনের সভাপতি সত্যজিৎ রায় বলেন,” বনদপ্তরের পক্ষ থেকে সচেতনতা মূলক প্রচার চালানো হলেও জঙ্গল এলাকায় গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে সেরকম প্রচার নজরে পরে না। এর আগেও একাধিকবার দূর্ঘটনার কবলে পড়েছে বন্যপ্রাণী। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে চিতার (Cheetah)। অবিলম্বে এই সমস্ত এলাকায় গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

জলপাইগুড়ি অনানারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী জানান,” বন দফতরের পক্ষ থেকে সবরকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে । এমনকি এই বিষয়ে একাধিক বৈঠক ও সচেতনতা মূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু তারপরও একশ্রেণির বেপরোয়া চালকদের জন্য মাশুল গুনতে হচ্ছে। আরো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার ব্যাপারে প্রয়োজনে সড়ক কতৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হবে ‌।”