ঢাকা: সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেলেন ২৩ বাংলাদেশি নাবিক। প্রায় ১ মাস ধরে বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে আটকে রেখেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সঙ্গে বন্দি করা হয়েছিল বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে। জানা যাচ্ছে, মুক্তিপণের দাবি মিটিয়েই মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি ওই জাহাজ। মুক্তি দেওয়া হয়েছে প্রায় এক মাস ধরে বন্দি থাকা ২৩ নাবিককেও। জাহাজটি বর্তমানে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তবে সব মিলিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের ছাড়ানোর জন্য কত টাকার মুক্তিপণ দিতে হয়েছে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশ সরকারও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য এখনও করেনি। শেখ হাসিনার সরকারের নৌ পরিবহণ মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বক্তব্য, তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না।
জানা যাচ্ছে, রবিবার সকালেই ২৩ নাবিককে নিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশি ওই পণ্যবাহী জাহাজ। সোমালিয়ার এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মুক্তিপণের অঙ্ক ছিল প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসেব করলে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। ভারতীয় মুদ্রায় ৪১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তবে জাহাজের মালিক পক্ষের এক সূত্র মারফত খবর, মুক্তিপণের অঙ্ক আরও কম। প্রসঙ্গত, ওই পণ্যবাহী জাহাজের মালিক পক্ষের তরফে সংস্থার উপ-ব্যবস্থাপক পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছিলেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের তাদের যোগাযোগ স্থাপন ও চূড়ান্ত বোঝাপড়ার কথা।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৪ বছর আগে এই একই সংস্থার অপর একটি জাহাজ এমভি জাহান মনি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেই বারও মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি ছাড়ানো হয়েছিল এবং তখনও মুক্তিপণের অঙ্ক গোপন রাখা হয়েছিল। জাহাজের মালিক পক্ষের তরফে সংস্থার মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম বলেছেন, কৌশলগত কারণে মুক্তিপণের বিষয়টি নিয়ে তারা কথা বলতে চাইছেন না। তিনি জানান, জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দিকে যাচ্ছে। সেখানে পণ্য খালাস করে জাহাজটি শীঘ্রই আবার দেশে ফিরবে আসবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।