Imran Khan: দলের সাংসদরাও হাত ছাড়ছেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গদি যেতে পারে ইমরানের
Imran Khan: জোটসঙ্গী দলের সদস্য বা দলীয় সাংসদদের পাশে না পেলে ইমরানের ক্ষমতা কতটা টিকে থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।
ইসলামাবাদ : অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। গদি যে টলমল করছে, সেই ইঙ্গিত অনেকদিন আগেই মিলেছে। পাক সেনার সঙ্গে বোঝাপড়া ঠিক নেই বলেই ইমরানে ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কিছুদিনের মধ্যে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে। আর তার আগেই ভয় বাড়ছে প্রধানমন্ত্রীর। শোনা যাচ্ছে, ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন তাঁরই দলের সাংসদরা। আর সেই ভয়েই অন্তত ২৪ জন সাংসদকে আটকে রাখা হয়েছে সিন্ধ হাউসে। সম্ভবত চলতি মাসের শেষেই আনা হবে অনাস্থা প্রস্তাব।
ইতিমধ্যে ইমরানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জোটসঙ্গীরাই ইমরানের বিপক্ষে অবস্থান করছে। আর এবার দলের সাংসরা সমর্থন দেবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আদতে গত কয়েক মাসে ইমরান খানের বিরুদ্ধে উঠছে একের পর এক অভিযোগ। দেশের অর্থনীতি, বিদেশ নীতি কোন কিছুই নাকি সামলাতে পারছেন না পাক প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে, পাকিস্তানে কোনও প্রধানমন্ত্রীর পুরো মেয়াদ সম্পূর্ণ করার রেকর্ড নেই। ইমরানের ক্ষেত্রেও তেমনটা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজা রিয়াজ নামে এক পিটিআই সাংসদ মুখ খুলেছেন সংবাদমাধ্যমে। তিনি দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মত তাঁদের পছন্দ হচ্ছে না। তাই তাঁরা তাঁদের মত অনুযায়ী ভোট দেবেন। শুধু রিয়াজ নয়, শাসক দলের অনেক সাংসদই ইমরানকে সমর্থনের প্রশ্নে বেসুরো হয়ে উঠেছেন। কিছুদিন আগে বিরোধী দলের দফতরে আনাগোনা করতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সাংসদদের। আর তা থেকেই বাড়ছে ভয়।
জানা গিয়েছে সিন্ধ হাউসে বন্দি করে রাখা হয়েছে ওই নেতাদের। সাধারণত এই সিন্ধ প্রদেশে এলে সিন্ধ হাউসে থাকেন আধিকারিকরা। সেখানেই দলের নেতাদের আটকে রেখেছেন ইমরান।
জোটসঙ্গী ও সাংসদদের পাশে না পেলে ইমরান খানকে মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার আগে গদি ছাড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইমরানের বিরোধী শিবিরে রয়েছে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ, অন্যদিকে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তান সেনার সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হচ্ছে ইমরান খানের। পাকিস্তানের ইতিহাস বলছে, পাকিস্তানের মসনদে টিকে থাকতে গেলে পাক সেনার সঙ্গে বোঝাপড়া থাকা জরুরি।
অনাস্থা প্রস্তাবের পর টিকে থাকতে গেলে সংসদের নিম্নকক্ষে মোট ৩৪২ সদস্যের মধ্যে ১৭২ জন সদস্যের সমর্থন পাওয়া জরুরি। ইমরান খানের সরকারকে অপসারণে তাদের পাশে ইমরানেরই দলের লোকজন থাকবে বলে আশা করছে বিরোধীরা। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন ইমরান। ২০২৩ সালে ফের পাকিস্তানে পরবর্তী নির্বাচনের আগে নড়বড়ে ইমরানের সরকার।
আরও পড়ুন : Terror Link in Howrah: বাংলাদেশি জঙ্গিদের ‘ট্রানজ়িট হাব’ হয়ে উঠছে বাংলা? কেন বার বার উঠে আসছে রাজ্যের নাম?