
কাবুল: আফগানিস্তান মনে করাচ্ছে তুরস্কের কথা। রবিবার মধ্যরাতে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩। কিন্তু তার তীব্রতা যে এতটা ভয়াবহ হবে, তা আন্দাজ করা সত্যি কঠিন ছিল। দু’দিনের অধিক সময় কেটে গেলেও এখনও থামেনি উদ্ধারকাজ। ক্রমে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। আহত সহস্র মানুষ।
আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আফগানিস্তানের এই ভূমিকম্পের কারণে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯০০ জনের। আহত ৩ হাজার। সোমবার রাত পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ছিল ৮০০ জন। তা এবার বাড়ল আরও এক ধাপ। অবশ্য, আফগানিস্তানের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্য়া ১২০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। ভেঙে গিয়েছে ৮ হাজারের বেশি ঘর-বাড়ি।
রবিবার আফগানিস্তানের জালালাবাদের কাছে নানগরহর প্রদেশে মাটি থেকে প্রায় আট কিলোমিটার গভীর কম্পনের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সময় অনুযায়ী তা অনুভূত হয় ওই ১১টা ৪৭ মিনিট নাগাদ। ভারতে তখন ১টা বাজে। ভূকম্পনের পর পরবর্তী কম্পন বা আফটারশকের কারণে আরও কয়েকবার কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। যার মাত্রা ছিল ৫। নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, এই আফটারশক অনুভূত হয়েছিল পাকিস্তানের বেশ কিছু এলাকা, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর এবং রাজধানীতেও।
একদিকে ভূমিকম্প, তার মধ্যে আবার শুরু হয়েছে অতিবৃষ্টি। সহজ কথায় গোদের উপর বিষফোঁড়া। বৃষ্টির কারণে কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। পাহাড় এলাকায় নেমেছে ধস। ফলত, উদ্ধারকাজে নেমে ‘ব্যাকফুটে’ পড়তে হচ্ছে তালিবান সরকারকে। তার মধ্যে হাতে নেই টাকা। সরকার বদলের আমেরিকা-সহ একাধিক দেশ আফগানিস্তানে আর্থিক অনুদান পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মহাফাঁপড়ে পড়েছে সেখানকার প্রশাসন। তবে গোটা বিশ্ব সরে এলেও, সঙ্কটকালে ভারত কিন্তু পিছিয়ে থাকেনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ত্রাণ আফগানিস্তানে পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি।