AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Taliban : ‘দশম শতাব্দীর মুজাহিদ’, সোমনাথ মন্দির ধ্বংসকারী প্রশংসা হক্কানি নেতার গলায়

Anas Haqqani: আজ মাহমুদ গজনির সমাধি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তালিবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা আনাস হাক্কানি।

Taliban : 'দশম শতাব্দীর মুজাহিদ', সোমনাথ মন্দির ধ্বংসকারী প্রশংসা হক্কানি নেতার গলায়
মাহমুদ গজনির সমাধি পরিদর্শনে তালিবান নেতা আনাস হাক্কানি (ছবি - টুইটার)
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 6:50 PM
Share

কাবুল : সপ্তদশ শতকে গুজরাটের সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করার পিছনে যার নাম সবার আগে আসে, সে গজনির সুলতান মাহমুদ গজনি। এবার সেই ‘কুখ্যাত’ গজনিকে ‘বিখ্যাত মুসলিম যোদ্ধা’ হিসেবে সম্মান জানাল তালিবান। আজ মাহমুদ গজনির সমাধি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তালিবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা আনাস হক্কানি। সেখানে আজ এইভাবেই সোমনাথ মন্দির ধ্বংসকারীর প্রশংসা করতে দেখা গেল হাক্কানি গোষ্ঠীর নেতাকে।

আজ মাহমুদ গজনির সমাধিস্থল পরিদর্শনে এসে হাক্কানি বলেন, “আজ আমরা সুলতান মাহমুদ গজনির সমাধি পরিদর্শন করেছি। তিনি একজন বিখ্যাত মুসলিম যোদ্ধা এবং দশম শতাব্দীর মুজাহিদ। গজনি থেকে এই অঞ্চলে একটি শক্তিশালী মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি এবং সোমনাথের মূর্তি ভেঙে দিয়েছিলেন।”

ভারতের সোমনাথে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দির ধ্বংসের প্রশংসা করতে শোনা যায় তালিবান নেতার গলায়। পরে ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলে নির্দেশে সোমনাথ মন্দিরের পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। মন্দির গঠনের কাজ সম্পন্ন হয় ১৯৫১ সালের মে মাসে তাঁর মৃত্যুর পর। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রী সোমনাথ মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান।

এদিকে, মঙ্গলবার ১৫ থেকে ১৭ জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী বন্দুক নিয়ে কাবুলের একটি গুরুদ্বারে ঢুকে পড়ে। সেখানে তারা নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে রেখে মারধর করে এবং গুরুদ্বারের ভিতর ভাঙচুর চালায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে তারা গুরুদ্বারের সিসিটিভিও ভেঙে দেয় বলে জানা গিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কাবুলে অবস্থিত কার্তে পারওয়ান গুরুদ্বারেই গতকাল হামলা চালায় একদল অজ্ঞাত পরিচয়ের দুস্কৃতি। তাদের হাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ওই দুষ্কৃতীরা গুরুদ্বারে ঢুকেই প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে রেখে মারধর করে। পরে গুরুদ্বারের ভিতরে ঢুকে সেখানে উৎসর্গ করা সমস্ত খাদ্য সামগ্রী ফেলে দেয় ও জিনিসপত্রে ভাঙচুর চালায়। গুরুদ্বারের ভিতরে ও আশেপাশে যে’কয়েকটি সিসিটিভি ছিল, তাও নষ্ট করে পালিয়ে যায় তারা।

কাবুলের ইন্ডিয়ান ওয়ার্ল্ড ফোরামের প্রেসিডেন্ট পুনীত সিং চন্দ্রোক বলেন, “গতকাল রাতেই আমি কাবুলে হামলার খবর পাই। জানতে পারি, প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তালিবানের একটি অজ্ঞাতপরিচয় দল কার্তে পারওয়ান গুরুদ্বারে ঢুকেছিল এবং সেখানে ভাঙচুর চালিয়েছে।”

তিনি বলেন, “শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ ও গুরুদ্বারে আগত ব্যক্তিরা যে অনুদান দিয়েছিল, তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আমায় জানায় যে গুরুদ্বারের সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে এবং তারপরই তারা গুরুদ্বারের ভিতরে ভাঙচুর চালায়।”

আরও পড়ুন : Taliban: বরফ গলল না তালিবানের অন্তর্দ্বন্দ্বে, কাবুলে ফিরলেও নিরাপত্তা নিতে রাজি নন বরাদর