Taliban: বরফ গলল না তালিবানের অন্তর্দ্বন্দ্বে, কাবুলে ফিরলেও নিরাপত্তা নিতে রাজি নন বরাদর
Baradar-Haqqani clash: সূত্রের খবর, তালিবানের ক্ষমতার শীর্ষে কে থাকবে? তা নিয়েই শুরু হয় সংঘাত। কাবুল ছেড়ে কান্দাহারে চলে গিয়েছিলেন বরাদর।
কাবুল: আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রকাশ্যে এসেছে তালিবানের (Taliban) অন্তর্দ্বন্দ্ব। আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠন না হলেও শীর্ষ স্তরের দায়িত্বে থাকা দুই নেতার মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক সংঘাত। খলিল হক্কানির (Khalil Haqqani) সঙ্গে সংঘাতের পরেই কাবুল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মোল্লা আবদুল ঘানি বরাদর (Abdul Ghani Baradar)। প্রায় মাসখানেক কাবুল (Kabul) মুখী হননি তিনি। সূত্রের খবর অবশেষে তিনি ফিরেছেন আফগানিস্তানের রাজধানীতে। উপ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে হবে তাঁকে। সে দায়িত্ব সামলাতে আপাতত রাজি হয়েছেন তিনি। তবে তালিবানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা হাক্কানির দেওয়া নিরাপত্তা গ্রহণ করতে রাজি নন বরাদর।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এক মাস পর কাবুলে ফিরেছেন বরাবর। মঙ্গলবারই কাবুলে ফিরেছেন তিনি। আপাতত তিনি কাবুল প্যালেসে থাকছেন বলে খবর। কাবুল ছেড়ে কান্দাহারে চলে গিয়েছিলেন তিনি। আপাতত তিনি ফিরলেও তাঁর ছেলে মোল্লা ওমর কান্দাহারেই আছেন।
কিছুদিন আগে সংঘাত একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। রীতি মতো হাতাহাতি, গোলাগুলির পর্যায়ের পৌঁছে যায় বরাদর-হাক্কানির সংঘাত। কার হাতে বেশি ক্ষমতা? এই নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত। এমনকি কাবুলে প্রেসিডেন্টের ভবনের ভিতর থেকে গোলাগুলির শব্দও শোনা গিয়েছিল। শোনা যায় আহত হয়েছিলেন বরাদর। যদিও, কান্দাহার থেকে একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেন বরাদর। সেখানে তিনি জানান, সংঘর্ষে তাঁর আহত হওয়ার খবর ভুয়ো। আফগান পর্যবেক্ষকদের দাবি, কাবুল প্রাসাদে গোলমালের সময়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান ফইজ হামিদ বরাদরের বিরুদ্ধে হাক্কানিদের সমর্থন করেন।
আসলে, সব স্তরের নেতাকে নিয়েই সরকার গঠনের পক্ষপাতি ছিলেন এই বরাদর। তালিবানের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন সদস্যদের নেওয়ার জন্যও সওয়াল করেন বরাদর, যাতে আন্তর্জাতিক স্তরে তালিবান কিছুটা ভাবমূর্তি ফেরাতে পারে। কিন্তু তাতে নাকি সায় নেই হাক্কানি নেতা খলিল উল রহমান হাক্কানি। কথা কাটাকাটি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে একসময়য় চেয়ার ছেড়ে উঠে সোজা বরাদরকে এক ঘুষি মারেন খলিল উল রহমান। সেই হাতাহাতি থামাতে হাজির হয় দু’জনের বডিগার্ড। তারা গোলাগুলি চালাতেও শুরু করে। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়। ওই ঘটনার পরই নাকি কাবুল ছেড়ে কান্দাহারের দিকে চলে গিয়েছিলেন বরাদর।
জানা যায়, তালিবান যোদ্ধারাও নাকি শীর্ষ নেতাদের ভূমিকা নিয়ে নিরাশ। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করতে গত মে মাস থেকে তারা আফগান বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে ক্লান্ত। এদিকে, ক্ষমতা দখলের পরই তালিবান নেতারা তাদের দিকে আর ঘুরে দেখছেন না বলে অভিযোগ। প্রবল অর্থকষ্ট, খাদ্যসঙ্কটে আফগানিস্তানের স্থানীয় বাসিন্দারাই মাঝেমধ্যে তালিব যোদ্ধাদের সাহায্য করছেন, তাই তালিবান যোদ্ধারা আপাতত স্থানীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্কই বজায় রাখতে চায়।
আরও পড়ুন: Mark Zuckerberg: আমার আপনার গোপন কথা আর গোপন রাখছে না ফেসবুক? জুকারবার্গ জানালেন…