Seikh Hasina: তালিবানের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ, দেশবাসীকে বার্তা হাসিনার

Bangladesh: তালিবানকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই, বললেন হাসিনা।

Seikh Hasina: তালিবানের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ, দেশবাসীকে বার্তা হাসিনার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 3:55 PM

ঢাকা :  আফগানিস্তানে (Afghanistan) তালিবান (Taliban) নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশগুলিতে শুরু হয়েছে উদ্বেগ। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতও (India)। ভারতীয় উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সম্ভাবনা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তালিবান ইস্যুতে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বার্তা দিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina)।

বার্তা দিয়ে হাসিনা জানিয়েছেন, তালিবানকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁর দাবি, যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। সম্প্রতি ঢাকা থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণের পর ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে আফগানিস্তানে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে আসেন অনেকে। তাঁর দাবি, এরকম অনেক ঘটনা সঙ্গে মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। হোলি আর্টিজানের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা ও এর স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শেখ হাসিনা এ দিন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট সম্পর্কে আমি আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই যে, এই সঙ্কট সৃষ্টি মায়ানমারে, এর সমাধানও রয়েছে মায়ানমারে। রাখাইন রাজ্যে তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই এই সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের বিচ্ছিনতাবাদীদের মধ্যেও তালিবানে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। একাধিক বাংলাদেশি যুবকের আফগানিস্তানে যাওয়ার খবর আসে। কাঁটাতারের ফাঁক দিয়েই তারা ভারতে প্রবেশ করতে পারে, এই সম্ভাবনায় ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে  পাহারারত বিএসএফ(BSF)-কে সতর্ক করা হয়।

২০ বছর আগেও যখন আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল তালিবানরা, সেই সময়ও বাংলাদেশ ছেড়ে বহু যুবক আফগানিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল এবং তালিবান সংগঠনে নাম লিখিয়েছিল। ফের একবার একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশ- দুই দেশই সতর্ক হয়ে গিয়েছে এবং সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন:  Taliban: বরফ গলল না তালিবানের অন্তর্দ্বন্দ্বে, কাবুলে ফিরলেও নিরাপত্তা নিতে রাজি নন বরাদর

তালিবান ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ জানায় যে যে সরকারই ‘জনগণের পক্ষে হবে, তার জন্যই দরকা খোলা রাখবে তারা। তালিবান যদি জনগণের সরকার গড়ে, তাহলেও আপত্তি নেই বাংলাদেশের। ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আফগানরা যে সরকার গড়বে, তা বাংলাদেশও মেনে নেবে।’ তাঁর কথায়, ‘নতুন যে সরকারই আসুক, সেটা যদি জনগণের সরকার হয়, তাহলে আমরা তাকে গ্রহণ করব।’ তিনি সাফ জানান, বাংলাদেশ জনতার সরকারে বিশ্বাস করে। গণতান্ত্রিক সরকারে বিশ্বাস করে।

আরও পড়ুন: Mark Zuckerberg: আমার আপনার গোপন কথা আর গোপন রাখছে না ফেসবুক? জুকারবার্গ জানালেন…