Afghanistan crisis: আফগান উদ্বাস্তুদের সহায়তার প্রয়োজন, জানালেন তালিবান মন্ত্রী
Afghanistan Crisis ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তালিবান। আমেরিকা (United State Of America) ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলি গনি সরকারকে দেওয়া লক্ষ লক্ষ মার্কিন, তালিবানদের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
কাবুল: ‘ ভূতের মুখে রাম নাম! ‘ আফগানিস্তানের (Afghanistan) নব নির্মিত তালিবানি মন্ত্রিসভার (Taliban Ministry) এক সদস্যের সাম্প্রতিক বক্তব্য , ঠিক যেন এই প্রবাদ বাক্যের অনেকটা বাস্তব রূপায়ণ। মন্ত্রিসভার ওই সদস্যর মতে, শীত পড়ার আগে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত আফগানিস্তানের যেসব নাগরিকরা ঘরছাড়া হয়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন, তাদের পুনরায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হওয়ার ক্ষেত্রে নতুন সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব থাকবে না।
এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে নিজের সাক্ষাৎকারে, তালিবান উদ্বাস্তু বিষয়ক মন্ত্রী খলিলুর রহমান হক্কানি (Khalilur Rehman Hakkani) বলেছেন, পঞ্জশীর (Panjshir) উপত্যকায় লড়াই চলাকালীন প্রায় ২০,০০০ আফগানি নাগরিক নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারে আফগানি মন্ত্রী বলেন ” শীত পড়তে আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। যারা আফগানিস্তানের কথা ভাবেন, তাদের সকলের উচিত একত্রিত হয়ে ঘরছাড়া আফগান নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হওয়া। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। ”
সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation) রীতিমত সুর চড়িয়ে আফগানিস্তানের তৈরি হওয়া পরিস্থিতিকে ‘মানবতার সংকট ‘ আখ্যা দিয়েছে। তাদের মতে এই পরিস্থিতিতে যথাযথ ভাবে আফগানিস্তানে প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে আগামী বছরের মাঝামাঝি আফগানিস্তানের ৯৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্রতার মুখোমুখি হবেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (World Food Programme) মতে এশিয়ার (Asia) এই দেশটিতে খরা ও খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার কারণে বহু মানুষ খুব শীঘ্রই রাজধানী কাবুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।
হক্কানি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নতুন সরকার ঘরছাড়া আফগানদের সবরকমের সহায়তা করতে প্রস্তুত। তার মতে আফগানিস্তান জুড়ে এখন শান্তি বিরাজ করছে, তাই যাঁরা ঘরে ফিরতে চান তাঁরা নির্ভয়ে ঘরে ফিরতে পারেন। সরকার গৃহহীনদের নিজের আগের বাসস্থানে ফিরতে সাহায্য করার পাশাপাশি, যুদ্ধের ফলে তাদের বাড়িঘর যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেই ক্ষেত্রেও সরকারী সহযোগিতা পাবেন।
ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তালিবান। আমেরিকা (United State Of America) ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলি গনি সরকারকে দেওয়া লক্ষ লক্ষ মার্কিন, তালিবানদের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। উদ্বাস্তু মন্ত্রী হক্কানি স্বীকার করে নিয়েছেন যে আর্থিক সমস্যা আছে ঠিকই, তবে ধীরে ধীরে তারা এই সংকট কাটিয়ে উঠবেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণ আফগান জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ক্ষমতার অলিন্দে তালিবান বসার পর থেকে দেশের জনগণের একটা বড় অংশ আতঙ্কে রয়েছেন। সরকার চালাতে জনসমর্থন প্রয়োজন, তাই জনতার সমর্থন পেতে নিজেদের জনদরদী হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে তালিবান।
আরও পড়ুন ভারতীয় সেনার বিভিন্ন ধরনের উর্দির পিছনে লুকিয়ে থাকে কারণ গুলো জেনে নিন
আরও পড়ুন Dev: ‘বাবুলদা আজ আমাদের দলে, কাল…’, বলেই থামলেন তারকা-সাংসদ!