Maldives President: প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অপমান করে পায়ে কুড়ুল মুইজ্জুর! ঘরেও উঠল ইস্তফার ডাক

Maldive-Lakshadweep Row: সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে উঠেছে "হ্যাশট্যাগ বয়কট মলদ্বীপে"র ঝড়। তবে ভারতের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে শুধু বাইরেই নয়, ঘরের অন্দরেও চরম চাপের মুখে পড়েছেন মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। এবার তাঁর ও নতুন সরকারের ইস্তফার দাবিতে সরব বিরোধী দলগুলি।

Maldives President: প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অপমান করে পায়ে কুড়ুল মুইজ্জুর! ঘরেও উঠল ইস্তফার ডাক
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jan 11, 2024 | 9:33 AM

মালে: লাক্ষাদ্বীপের পর্যটন নিয়ে প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তাতেই গায়ে ‘ফোস্কা’ পড়েছে মলদ্বীপের (Maldive)। একের পর এক নেতা-মন্ত্রীরা ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে শুরু করেন। চুপ করে থাকেনি ভারতও। তলব করা হয় মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েও উঠেছে “হ্যাশট্যাগ বয়কট মলদ্বীপে”র ঝড়। তবে ভারতের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে শুধু বাইরেই নয়, ঘরের অন্দরেও চরম চাপের মুখে পড়েছেন মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu)। এবার তাঁর ও নতুন সরকারের ইস্তফার দাবিতে সরব বিরোধী দলগুলি। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে বিপদের মুখে ফেলার জন্যই একাধিক বিরোধী দলনেতা নতুন প্রেসিডেন্টের ইস্তফার দাবি করেছেন বলে জানিয়েছেন। সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।

বিতর্কের সূত্রপাত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফর থেকে।  লাক্ষাদ্বীপে ঘুরতে গিয়ে সেখানে অসাধারণ সুন্দর সমুদ্র ও সৈকতের ছবি পোস্ট করে দেশের নাগরিকদের এখানে ঘুরতে আসার আহ্বান জানান তিনি। এতেই আপত্তি মলদ্বীপের। পড়শি দেশের নেতারা ভারতকে আক্রমণ করতে শুরু করেন। দাবি করেন, মলদ্বীপের ‘বিচ ট্যুরিজম’ ভারতের থেকে শতগুণ ভাল। মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ ও মাহজ়ুম মাজিদ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘পুতুল’ ও ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। এরপরই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। বয়কট মলদ্বীপের ডাক ওঠে। চাপের মুখে পড়েই তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। কিন্তু এতেও বিতর্কে ইতি পড়েনি।

গত সপ্তাহেই মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি এই বিতর্ক ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক চিড় ধরার জন্য নতুন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর তীব্র সমালোচনা করেন। আরেক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদও  প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অবমাননার প্রতিবাদ করেছেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান ফায়াজ় ইসমাইলও মুইজ্জুকে দোষারোপ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরানোর দাবি জানিয়েছেন। বিরোধী নেতা আলি আজ়িমও ভারতকে আক্রমণ বন্ধ করার ডাক দিয়েছেন।