Myanmar: ‘এখুনি এলাকা ছাড়ুন’, ভয়ঙ্কর অবস্থা মায়ানমারে, ভারতীয়দের জন্য জারি হল সতর্কতা

Myanmar Violence: মায়ানমারে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতেই, সেখানে থাকা ভারতীয়দের জন্য সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। উত্তপ্ত পরিস্থিতি, টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় এবং অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর তীব্র সঙ্কট থাকায় ভারতীয়দের মায়ানমারের রাখিনে-তে যেতে বারণ করা হয়েছে।

Myanmar: 'এখুনি এলাকা ছাড়ুন', ভয়ঙ্কর অবস্থা মায়ানমারে, ভারতীয়দের জন্য জারি হল সতর্কতা
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে মায়ানমার সেনা।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Feb 07, 2024 | 8:20 AM

মায়ানমার: পড়শি দেশে বাড়ছে উত্তেজনা। দেশের অন্দরেই সেনাবীহিনীর সঙ্গে বিরোধ, সংঘর্ষে কার্যত ভেঙে পড়েছে মায়ানমারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভারত, বাংলাদেশে বাড়ছে অনুপ্রবেশ। সেনা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের হাত থেকে বাঁচতে সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছেন মায়ানমারের নাগরিকরা। এই পরিস্থিতিতে এবার ভারতীয়দের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হল। কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ভারতীয় নাগরিকদের অবিলম্বে মায়ানমাপের রাখিনে ছাড়তে বলা হল।

গত বছরের শেষভাগ থেকেই মায়ানমারে ফের একবার অশান্তির আগুন জ্বলছে। এমনিতেই সরকার চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। জেলবন্দি আন সুকির মতো রাষ্ট্রনেতারা। সেনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেই শক্তি প্রয়োগ করে বাহিনী। দুই পক্ষের মধ্যে সেই সংঘর্ষ এখনও জারি রয়েছে। মায়ানমারের কয়েক হাজার নাগরিক ইতিমধ্যেই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশেও পালিয়ে আসেন বেশ কয়েকজন মায়ানমার সেনা।

মায়ানমারে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতেই, সেখানে থাকা ভারতীয়দের জন্য সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। উত্তপ্ত পরিস্থিতি, টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় এবং অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর তীব্র সঙ্কট থাকায় ভারতীয়দের মায়ানমারের রাখিনে-তে যেতে বারণ করা হয়েছে। যারা ওখানে রয়েছেন, তাদেরও অবিলম্বে ওই রাজ্য ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। দেশের প্রধান আন সু-কিকে গ্রেফতার করে মিলিটারি। ক্ষমতা দখল করে তারা। ২০২৩ সালের শেষভাগে দেশে সামরিক শাসন শেষ ও গণতন্ত্র পুনর্স্থাপনের দাবিতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়। রাতারাতি তা হিংসার রূপ নেয়। গত অক্টোবর মাস থেকেই রাখিনে সহ একাধিক রাজ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

নভেম্বর মাসেও কেন্দ্রের তরফে মায়ানমারের এই সংঘর্ষ ও হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। সীমান্ত লাগোয়া মণিপুর ও মিজোরামেও এই অশান্তির আঁচ পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উপরে মায়ানমারের সেনা এয়ারস্ট্রাইক চালানো শুরু করতেই, গত সপ্তাহেই ভারতের তরফে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আবেদন জানানো হয়।