
নয়াদিল্লি: মাঝে হয়তো দু’মাসের ব্যবধান। নেপালের জেন-জি বিক্ষোভের ক্ষত এখনও তরতাজা। কীভাবে হিমালয়ের কোলের একটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল, তা দেখেছে গোটা বিশ্ব। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পর তৃতীয় গণঅভ্যুত্থানের তালিকায় নাম জুড়ে গিয়েছিল নেপালের। তারপর কত জলই না বয়ে গিয়েছে। সেখানে নতুন সরকার এসেছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী এসেছে। সবটাই অন্তর্বর্তী। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে।
এবার যেন সেই স্বাভাবিকতার ছন্দপতন। কাটল তাল। মাতল যুব প্রজন্ম। বৃহস্পতিবার নেপালের বারা জেলায় নতুন করে কার্ফু জারি করলেন জেলাশাসক। পথ দখল করল তরুণরা। কিন্তু হঠাৎ করে এই বিক্ষোভের অর্থ কী? কোন সূত্রে তপ্ত নেপাল?
বেশ কিছু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকেই চড়েছে পারদ। নেপালের সীমারায় পথে নামে যুব-তরুণরা। এবারও দাবি সেই এক সরকার বদলের। কেউ কেউ বলছেন, এই বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি শর্মার সমর্থক ও সিপিএন-ইউএমএল-র কর্মী। এদিন পথে নেমে মিছিল করে যুব বিক্ষোভকারীরা। তারপর বচসা বাঁধে দলেরই দু’পক্ষের মধ্যে। যা কয়েক মিনিটেই নিয়ে নেয় চূড়ান্ত রূপ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পরিণত হয় আন্দোলনে। মাঝে মধ্য়ে ওঠে সরকার বদলের স্লোগানও।
বুধবার পেরিয়ে বৃহস্পতিবার বাড়ে বিক্ষোভের ঝাঁঝ। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় হাতাহাতি জড়ায় তাঁরা। ইতিমধ্যেই দু’জন তরুণ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এরপরই কার্ফু জারি করে বারা জেলাশাসক। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত কার্ফু জারি করেছে জেলাশাসকের দফতর। এদিন নেপালের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়েছেন। কোনও রাজনৈতিক উস্কানিতে বিক্ষোভকারীদের পা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তিনি। বুধবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী দফতর একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং নিরাপত্তাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। সব রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।’