রেললাইনে গোলমাল, দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত কমপক্ষে ৩২
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের। তবে কীভাবে ট্রেন দুর্ঘটনা(Train Accident)-টি ঘটল, তা এখনও জানা যায়নি।
কায়রো: বাকি পাঁচটা দিনের মতোই দ্রুতগতিতে ছুটছিল ট্রেন। তবে একটা হিসাবের গড়মিলেই ওলট-পালট হয়ে গেল সবকিছু। মুখোমুখি দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩২ জনের, আহত হয়েছেন ৬৬ জন। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।
মিশরের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রাজধানী কায়রো থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দূরে তাহতা জেলায় দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। নিমেষেই লাইনচ্যুত হয় একাধিক বগি। দুর্ঘটনার খবর পেতেই স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থানে পৌঁছয় ১২টি অ্যাম্বুলেন্স। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপরই প্রশাসন সূত্রে একটি বিবৃতি পেশ করে বলা হয়, দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩২জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৬ জন। এখনও উদ্ধারকার্য চলছে। তবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই মিশরে একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনার খবর সামনে উঠে এসেছে। ২০০২ সালে একটি ট্রেনে আগুন লেগে পুড়ে মারা গিয়েছিলেন ৩৭৩ জন। এরপর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কায়রোতে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয় ও তাতে আগুন লেগে যায়। এই ঘটনায় ২০ জনেরও বেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়। বিক্ষোভের জেরে পরিবহনমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এরপর গত বছরও মার্চ মাসে কায়রোতেই দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন। সেই সময় খারাপ আবহাওয়ার কারণে সিগন্যাল সমস্যাকে দোষারোপ করেছিল প্রশাসন। সেই সময়ও বেশ কয়েকদিন ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: দুপুরে বেরিয়েছিলেন সবজি তুলতে, মাঝরাতে কুয়োয় মিলল ২ মেয়ে ও বাবার মৃতদেহ