AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দুপুরে বেরিয়েছিলেন সবজি তুলতে, মাঝরাতে কুয়োয় মিলল ২ মেয়ে ও বাবার মৃতদেহ

দুপুরে খাবার তৈরি করতে সময় লাগায় দুই মেয়েকে নিয়ে ক্ষেত থেকে সবজি তুলে নিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছিলেন রাজেন্দ্র। সন্ধে হয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি তাঁদের। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান, মাঝরাতে কুয়ো(Well)-এ ভাসতে দেখা যায় তাঁদের মৃতদেহ(Deadbody)।

দুপুরে বেরিয়েছিলেন সবজি তুলতে, মাঝরাতে কুয়োয় মিলল ২ মেয়ে ও বাবার মৃতদেহ
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: Mar 26, 2021 | 6:28 PM
Share

পুণে: দুপুরের খাবার তৈরি করে রাখতে বলেছিলেন, তারই ফাঁকে দুই মেয়েকে হাত ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন ক্ষেতে। বের হওয়ার আগে বলেছিলেন, সবজি তুলে নিয়ে আসছেন। কিন্তু বেলা গড়িয়ে সন্ধে হয়ে গেলেও ফিরলেন না কেউই। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে শেষমেশ খোঁজ মিলল তাঁদের। তবে জীবিত নয়, কুয়োয় ভাসতে দেখা গেল তাঁদের মৃতদেহ। পুণের শিকারপুরে নিজের দুই মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যা করেন এক ব্যক্তি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ মার্চ পুণে থেকে তালেগাঁও ধামধেরেতে আসেন রাজেন্দ্র ভুজবল (৪২)। সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর দুই মেয়ে, দীক্ষা (১০) ও রুতুজা(৮)-কে। দুপুরে পৌছনোয় আত্মীয়ের বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজন সারবেন বলে জানিয়েছিলেন রাজেন্দ্র। খাবার তৈরিতে যেটুকু সময় লাগছে, তারই মাঝে দুই মেয়েকে নিয়ে সামনের ক্ষেত থেকেই সবজি তুলে আনছেন বলে বেরিয়ে যান।

আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে রাজ্যে ‘ভূমি জিহাদ’ আইন আনার প্রতিশ্রুতি শাহের, ছাত্রীদের ফ্রি-তে স্কুটি

কিন্তু দু ঘণ্টা কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেননি তাঁরা। এরপরই পরিবারের লোকজন তাঁদের খোজে বের হন। আশেপাশের এলাকা ও মাঠে খুঁজেও তাঁদের কোনও চিহ্ন মেলেনি। পরে একটি কুয়োর কাছ থেকে রাজেন্দ্রর ফোন ও অন্যান্য কিছু মূল্যবান সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পুলিশের সাহায্য নিয়ে মধ্যরাত অবধি তল্লাশি অভিযান চলার পর আচমকাই ফের কুয়োতে উকি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখেন, ২০ ফুট দীর্ঘ ওই কুয়োর মধ্যেই ভাসছে দেহ।

এরপর দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় তিনজনেরই দেহ উদ্ধার করা হয়। কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার না হলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণেই রাজেন্দ্র নিজের দুই মেয়েকে প্রথমে খুন করে কুয়োয় ফেলে দেয় এবং নিজেও সেই কুয়োতেই ঝাঁপ দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুণের ওয়ানাওয়াড়ি জেলায় মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন রাজেন্দ্র। সেখানেই একটি নির্মাণকারী সংস্থায় অফিস সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। সেই দিন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঝগড়ার পরই তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন ও আত্মীয়ের বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেন।

আরও পড়ুন: ঋষিকেশের হোটেলে করোনা আক্রান্ত ১৬ কর্মচারী, ‘কড়া পদক্ষেপে’র ইঙ্গিত মহারাষ্ট্র সরকারের