ঢাকা: কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের একাধিক উপকূলীয় জেলা । মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘর-বাড়ি। জায়গায় জায়গায় উপড়ে পড়েছে গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষেতের ফসল। ছিঁড়ে পড়েছে বিদ্যুতের তার। ঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু এলাকা। রবিবার সকালে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলিতে তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী। পটুয়াখালির বাউফলে ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০টি ঘর-বাড়ি। মৃত্যু হয়েছে রাতুল নামে এক বছর চোদ্দর কিশোরের। সুফিয়া বেগম নামে (৮৫) এক বৃদ্ধাও প্রাণ হারিয়েছেন ঝড়ের সময়ে। এছাড়া গোসিংগা গ্রামেও ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঝড়ের তাণ্ডবলীলার ছবি গোটা উপকূলীয় জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে। ঝালকাঠিতে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে এগারো বছরের এক কিশোরী-সহ দুই মহিলার। মৃতদের নাম হেলেনা বেগম (৪০), মিনারা বেগম (৩৫) ও মাহিয়া আক্তার ঈশানা (১১)। পিরোজপুর অঞ্চলেও ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে প্রায় কয়েক’শো বাড়ি। গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে রুবি বেগম নামে বছর তেইশের এক গৃহবধূর। আহত হয়েছে ওই মহিলার বছর ছয়েকের সন্তান। এছাড়া আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন।
কালবৈশাখীর দাপটে লালমোহন, মনপুরা ও তজুমদ্দিনেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লালমোহন এলাকায় দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। খালিয়াজুরিতে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক কৃষকের। ঝড়-বৃষ্টির সময় নিজের লঙ্কা-ক্ষেতে কাজ করছিলেন শহিদ মিয়া নামে ওই কৃষক। সেই সময়েই আচমকা বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর। এছাড়া খুলনার ডুমুরিয়ায় এক জন, যশোরের ঝিকরগাছায় এক জন ও বাগেরগাটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি কচুয়াতেও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।