
ঢাকা: মেঘালয় ও অসমের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের (Bangladesh) উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চার জেলায় বজ্রপাতে নিহত কমপক্ষে ১০ জন। নিহতরা সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা ও সিলেটের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বজ্রপাতে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই জমিতে কাজ করছিলেন বলে খবর। ধান কাটতে গিয়ে তিন উপজেলায় ৬ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে ছাতক উপজেলার দেবের গাঁও গ্রামের কৃষক মহিম মিয়া, বড়কাপন এলাকার কৃষক আরশ আলী,ও চরমহল্লা গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ সকালে জমিতে ধান কাটতে গিয়েছিলেন। কাজের মধ্যেই আচমকা তাঁদের মাথায় বাজ পড়ে বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
এদিকে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষিপুর এলাকার চৌদ্দকুড়ি হাওর ও কালাদেউরা হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আরও ২ কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষকদের মধ্যে রয়েছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের রনভুমি গ্রামে কৃষক তারা মিয়া ও মিলন মিয়া। স্থানীয় থানার ওসি দেব দুলাল ধর তাঁদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়াও সকালে তাহিরপুরে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে রমজান মিয়া নামের আরেক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতের কারণে আরেক কৃষক আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলায় দুটি জায়াগায় বজ্রপাতে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এদিন সকালে জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়। এ সময় বজ্রপাতে মারা যান ২ জন। এ সময় দুটি গরুরও মৃত্যু হয়। জেলার শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের লালবাগ এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন (৩২) বজ্রপাতে মারা যান। একই ঘটনায় হায়দর মিয়া নামের আরেকজন গুরুতর আহত হন। তারাও জমিতে ধান কাটতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জমির ধান কাটার সময় বজ্রপাতে রবিকুল হাসান (৩০) নামে আর এক কৃষক মারা যান। হাবুল্লাহ হাসান (২৫) নামের এক কৃষক আহত হন। বেলা ১১টার দিকে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার মোহাম্মদপুর এলাকার বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিহত ব্যক্তি বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। নাম আনছার আলী (৭০)।