ঢাকা: ২০২৪-এর শুরুতেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু, নির্বাচন বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লিগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি অন্যতম বিরোধী দল, বিএনপি-কে খুনি আর যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে অভিহিত করেন। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসা ও অগ্নিসন্ত্রাসের জন্য বিএনপি-কে দায়ী করেছেন শেখ হাসিনা।
আজ, শনিবার নিজের জন্মস্থান এবং নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক জনসভা করেন শেখ হাসিনা। মূলত, নির্বাচনী প্রচারেই তাঁর এই জনসভা। সেই জনসভা থেকেই বিএনপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসার জন্য বিএনপি-কে দায়ী করে ওই দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানকে হিংসা ও অগ্নিসন্ত্রাসের নির্দেশদাতা হিসেবেও অভিহিত করেছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনের পর তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে টাকা লুঠপাট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আওয়ামী লিগ যখনই কাজ শুরু করছে বিএনপি তখনই বাধা দিচ্ছে।
এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এই বাংলাদেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলি আমি প্রাণপণে সফল করার চেষ্টা করছি।” তিনি আরও বলেন, “অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে চলতে হয়েছে আমাকে। তারপরও আওয়ামী লিগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা আমাকে আগলে রেখেছে।” এদিনের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা ও আওয়ামী লিগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী-অভিনেতারা।
এদিন নিজ জন্মস্থানে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উৎসবমুখর পরিবেশের বিরাজ করে। ঘরের মেয়ে শেখ হাসিনাকে একটি পলক দেখতে জনসভায় ভিড় করেছেন হাজার হাজার মানুষ। শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা জনসভায় পৌঁছলে হাজার-হাজার মানুষ তাঁদের অভিনন্দন জানান। তাঁরা হাত তুলে ও মঞ্চ ঘুরে ঘুরে জনসভায় উপস্থিত জনগণকে অভিবাদন জানান।
এর আগে শুক্রবার রাতে বরিশালের জনসভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়কপথে বরিশাল থেকে টুঙ্গিপাড়া যান। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। টুঙ্গিপাড়ার এই জনসভা শেষে প্রধানমন্ত্রী দুপুরে তাঁর নির্বাচনী এলাকার মধ্যে কোটালীপাড়ায় আরেকটি জনসভায় যোগ দেন।