ঢাকা: দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী আরভ খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বাংলাদেশের একটি আদালত। আরভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে অস্ত্র আইনের এক মামলার ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ৯ মে ঢাকার মহানগর দায়রা বিচারক মুর্শিদ আহাম্মদ এই রায় ঘোষণা করেছেন। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরভ খান নামে ওই ব্যবসায়ীর শ্বশুর সেকেন্দার আলির বাড়ি থেকে গুলিভর্তি রিভলভার সহ গ্রেফতার হন আরভ খান। রাজধানী ঢাকার মগবাজার এলাকায় বাড়ি আরভ খানের শ্বশুরের। এই ঘটনার পর আরভের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা রুজু হয়। গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু এই মামলা করেছিলেন।
অভিযুক্ত আরভ খানের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল এফআইআরে। সেখানে তাঁর নাম ছিল রবিউল ইসলাম আপন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ মার্চ আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। ওই বছরের ১০ মে থেকে আরভের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয়। এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান রবিউল।
জামিনে গিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর ফের তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তারপরও পাওয়া যায়নি তাঁকে। এখনও আরভ খান পলাতক। এরই মধ্যে সেই ঘটনার প্রায় দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর আজ এই রায় দেওয়া হল।
সেই রবিউল বর্তমানে আরভ খান নামে পরিচিত বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগে দুবাইয়ে একটি জুয়েলারি শো রুম উদ্বোধনের জন্য বাংলাদেশে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, হিরো আলম সহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি তারকাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হয়। পরে জানা যায়, এই সোনার দোকানের মালিক আরভ খান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশে এক পুলিশকর্তা খুনে অভিযুক্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখান থেকে নাকি কৌশলে আরভ খান নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। দুবাইতে গিয়ে হঠাৎ করে কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি সোনার শোরুমের মালিক তিনি। বাংলাদেশ পুলিশ তাঁর নামে ইন্টার পোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে আরভ খান কানাডার নাগরিক। তিনি এখন আমেরিকায় রয়েছেন।