Khaleda Zia: শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি, সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরিত খালেদা জিয়া

BNP Chairperson: ২০২১ সালে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর হার্টে ৩টি ব্লক ধরা পড়েছে। আর্থ্রাইটিস, মধুমেহ, কিডনি, লিভার ও হৃৎপিন্ডের সমস্য়াতেও ভুগছেন তিনি।

Khaleda Zia: শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি, সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরিত খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি।

| Edited By: Sukla Bhattacharjee

Sep 22, 2023 | 9:48 PM

ঢাকা: শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও BNP চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার। সিসিইউ থেকে বের করে তাঁকে আবার কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার দুপুরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে (Khaleda Zia) সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। তারপর সিটি স্ক্যান করার পরই তাঁকে সিসিইউ থেকে বের করে কেবিনে নিয়ে আসা হয়।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ৪ দিন আগে অর্থাৎ গত ১৮ সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। ১০ ঘণ্টার মতো সিসিইউতে রেখে তাঁকে আবার কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এদিন সকালে ফের খালেদা জিয়ার অবস্থার অবনতি হয় এবং তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সেখানে বিশেষ পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফলে সিটি স্ক্যান করার পরই তাঁকে সিসিইউ থেকে বের করে কেবিনে পাঠানো হয়।

২০২১ সালে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। যার জেরে একাধিকবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। বর্তমানে তাঁর হার্টে ৩টি ব্লক ধরা পড়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, মধুমেহ, কিডনি, লিভার ও হৃৎপিন্ডের সমস্য়ায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা বেশ কয়েকবার সাংবাদিক সম্মেলনে করে জানিয়েছেন, অতি দ্রুত খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট (প্রতিস্থাপন) করা দরকার। কিন্তু এ ধরনের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তাই তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন জানিয়েছে খালেদা জিয়ার পরিবার। এছাড়া বিএনপি-র পক্ষ থেকেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু, কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করার উপরেও বিধি-নিষেধ জারি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালেই দোষী সাব্যস্ত করা হয় খালেদা জিয়াকে। তাঁকে গ্রেফতার করে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে সেই মামলা হাইকোর্টে গেলে শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।