ঢাকা: বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আওয়ামি লিগ সরকারের উপর চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা। বাংলাদেশের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর পুলিশি হয়রানি বন্ধের কথা শোনা গিয়েছে মার্কিন প্রশাসনের মুখে। এমনকি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ বাড়িয়েছে মার্কিন প্রশাসন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আমেরিকার এই নাক গলায়ো ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে সেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। আমেরিকার এই পদক্ষেপে বাংলাদেশের ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলি মাথা চাড়া দেওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এই ইস্যুতে আমেরিকাকে পাল্টা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি বিরোধী দলীয় নেতা ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সংলাপ করেন, তখন আমরাও বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ করব। এবং বিএনপি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠক করব।” শেখ হাসিনার বাইডেন-ট্রাম্প সংলাপের প্রস্তাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক আঙিনায় প্রবলভাবে আলোচনায় উঠে এসেছে।
আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের সাংবাদিক সম্মেলনেন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্নে উঠে শেখ হাসিনার বাইডেন-ট্রাম্প সংলাপের প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের কথা বলার বিষয়ে বাক্য খরচ করলেও বাইডেন-ট্রাম্প সংলাপের প্রস্তাব নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “আমি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আগে যা বলেছি সেটি ছাড়া অন্য কোনও মন্তব্য করব না। আমরা বিশ্বাস করি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংলাপ (সরকার-বিরোধী দল) গুরুত্বপূর্ণ।” নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে ঘটনা হিংসার ঘটনার উপর আমেরিকা নজর রাখছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।