Cyclone Mocha: ধেয়ে আসছে ‘মোখা’, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ

বর্তমান অবস্থানে থাকা ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার ও মায়ানমারের উপকূল এলাকা দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। তা হলে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার। কোথাও কোথাও এর থেকেও বেশি। এর জন্য সাগর উপকূল থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Cyclone Mocha: ধেয়ে আসছে ‘মোখা’, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ
সাইক্লোন মোখার প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূল এলাকায় প্রবল বেগে বইছে বাতাস

| Edited By: অংশুমান গোস্বামী

May 11, 2023 | 6:55 PM

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে তা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্রমশ এগিয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বাংলাদেশ-মায়ানয়ান উপকূলেই ঘূর্ণিঝড় মোখার আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। মোখার প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের উপকূল এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঝোড়ো বাতাস বওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১২২০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম ও পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার ছিল। এটি দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। এছাড়া গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর উত্তাল আছে।

বুধবারই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছিল। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, এটি ‘সুপার সাইক্লোন’ হতে পারে। সরকার সবদিক থেকেই প্রস্তুত আছে। প্রতিবারের মতো এবারও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, সেনা, কোস্ট গার্ড প্রস্তুত আছে। প্রস্তুত আছে স্থানীয় প্রশাসনও।

বর্তমান অবস্থানে থাকা ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার ও মায়ানমারের উপকূল এলাকা দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। তা হলে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার। কোথাও কোথাও এর থেকেও বেশি। এর জন্য সাগর উপকূল থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বিস্তৃর্ণ উপকূলীয় এলাকাজুড়ে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরণের প্রস্তুতি। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছিল। আজ তা বাড়িয়ে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত করা হয়েছে। এদিকে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হওয়ায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই-এক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হতে পারে রাজধানী ও এর আশপাশের জেলাগুলোতেও।