ঢাকা: বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খানের (Shakib Khan) বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। প্রবাসী রহমত উল্লাহর করা মানহানি মামলায় শাকিব খানকে জবাব দাখিলের জন্য সমন জারি করে আদালত। একশো কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির প্রযোজক অস্ট্রেলিয়া নিবাসী রহমত উল্লাহ গত সপ্তাহে এই মামলা করেন নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক আগামী ১৫ মে জবাব দাখিলের জন্য সমন জারি করেন। এই জবাব দিতে দেরি হলে বা না দিলেই গ্রেফতার হতে পারেন শাকিব খান। আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা আদালতের সেরেস্তাদার শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৩০ এপ্রিল ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে এই মানহানির মামলা করা হয়। গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালতে রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে আরও একটি মানহানির মামলা করেছিলেন। এর আগে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে প্রতারক ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছিলেন রহমত উল্লাহর আইনজীবী।
গত ১৮ মার্চ রাতে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে রাজধানী ঢাকার গুলশান থানায় যান শাকিব খান। তবে প্রযোজকের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ না থাকায় মামলা নেয়নি পুলিশ। পরের দিন ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় ঢাকার ডিবি কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন শাকিব খান। পরে গত ২৩ মার্চ চাঁদা দাবির অভিযোগে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন শাকিব। এই মামলা হলে আইনি লড়াইয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে আসেন প্রবাসী প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
বাংলাদেশে এসেই শাকিব খানের বিরুদ্ধে এই দুটি মামলা করেন তিনি। এর আগে, মার্চে বেশ কিছু অভিযোগ এনে বাংলাদেশের শিল্পী সমিতি, প্রযোজক সমিতি সহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েক জায়গায় লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ। এ নিয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠকও হয় শাকিব খানের সঙ্গে ওই প্রযোজকের। নতুন করে শুটিংয়ে অংশ নেবেন এবং সিনেমাটি শেষ করবেন এমন একটি সমঝোতাও হয় দুই পক্ষের মধ্যে। কিন্তু এর পর প্রযোজক রহমত উল্লাহ অস্ট্রেলিয়া ফিরে গেলে শাকিব খান তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্য করেন।