ঢাকা: বাংলাদেশের সিনেমা জগতের সুপার হিরো শাকিব খানের বিরুদ্ধে দায়ের হল মানহানির মামলা। তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করলেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। বাংলাদেশ সময় রবিবার সকাল ১১টায় ঢাকার জেলা জজ আদালতে এই মামলা করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজক রহমত উল্লাহ। রহমত উল্লাহের আইনজীবী তাবারক হোসেন ভুইঞা বলেনছে, মামলাটি নিয়ে রবিবার বিকরালে সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে। সেখানে মামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। জানা গিয়েছে, প্রয়োজক রহমত উল্লাহ ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ নামে একটি সিনেমায় বিনিযোগ করেন। সিনেমাটি পরিচালনা করেন আশিকুর রহমান। সাত বছর আগে শুটিং শুরু হলেও সিনেমাটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। রহমত উল্লাহ জানান, গত সাত বছর ধরে শাকিব একের পর এক শিডিউল দিয়ে শুটিংয়ে উপস্থিত থাকেন না। এর জেরে প্রজোযকের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতির কাছে শাকিবের বিরুদ্ধে, আর্থিক ক্ষতি সাধন, মিথ্যা আশ্বাস, অসদাচরণসহ বেশ কিছু বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান রহমত উল্লাহ। এই অভিযোগ দিলে শাকিব খান রহমত উল্লাহ সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এবং বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। এ অবস্থায় রহমত উল্লাহ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান। তখন শাকিব রহমত উল্লাহর নামে চাঁদাবাজি এবং প্রাণনাশের হুমকির মামলা করেন। এ মামলায় আইনি লড়ায়ের জন্য রহমত উল্লাহ আবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এবং তার পক্ষের প্রমানাদী উপস্থাপন করে শাকিবের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ২৩ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ‘চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি’ দেয়ার অভিযোগে মামলা করেন শাকিব খান। এসময় রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করে আদালত। পরে ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হলে জামিন পান রহমত উল্লাহ।
শাকিবের মামলার পর গত ১৩ এপ্রিল মানহানির অভিযোগে চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তাঁর আইনজীবী বলেন, “আমার মক্কেলের নামে শাকিব খান যে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছিলেন তা প্রত্যাহারের জন্য আমরা তাঁকে লিগাল নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মক্কেলের অনুভূতিতে আঘাত করা বক্তব্য প্রত্যাহার করেননি শাকিব খান। ফলে এই মামলাটি দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন আমার মক্কেল।”