Rohingya Camp: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে হামলা, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ৩

Rajib Khan | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

May 07, 2023 | 6:17 PM

কক্সবাজার: অশান্তি লেগেই রয়েছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। একের পর এক হামলা ও গুলিচালনার ঘটনা ঘটছে সেখানে। রবিবার সকালেও এক দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে। এই হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালি শরণার্থী শিবিরে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে মা ও দুই ছেলে গুলিবিদ্ধ হন। […]

Rohingya Camp: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে হামলা, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ৩
রোহি্ঙ্গা শিবির

Follow Us

কক্সবাজার: অশান্তি লেগেই রয়েছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। একের পর এক হামলা ও গুলিচালনার ঘটনা ঘটছে সেখানে। রবিবার সকালেও এক দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে। এই হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালি শরণার্থী শিবিরে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে মা ও দুই ছেলে গুলিবিদ্ধ হন। রবিবার ভোরে এই গুলির ও হামলার পর সাধারণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গণপিটুনিতে ১ আরসা সদস্য নিহত হয়। আসরা সদস্যদের হামলা মৃত তিন জন হলেন রমিদা খাতুন (৫৫), তাঁর ছেলে মহম্মদ রফিক (২৫) ও জুবায়ের (১৮)। এরা সকলেই কক্সবাজার জেলার উখিয়া ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তি নিষিদ্ধ ঘোষিত আরসার সদস্য হিসেবে শনাক্ত হলেও তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বা এপিবিএন এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, বালুখালি ১৩ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা সৈয়দ হোসেনের ওপর হামলা চালায় ২০-২৫ জন আরসা সদস্য। এ সময় আশপাশে থাকা একই পরিবারের তিনজন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হন। পরে সাধারণ রোহিঙ্গাদের গণপিটুনিতে একজন আরসা সদস্য মারা যায়। এ ঘটনায় ক্যাম্পে পরিস্থিতি উত্তেজনাকর রয়েছে। পুলিশি টহল জেরদার করা হয়েছে। এর আগেও একাধিক হামলা পাল্টা হামলা এবং গোলাগুলির ঘটনায় শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ অনেক রোহিঙ্গার প্রাণহানি হয়। মায়ানমারে রোহিঙ্গাদেরক প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি গতি পেতেই এই হামলার ঘটনা বেড়েছে।

শুক্রবার মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডুতে প্রত্যাবর্তনের অবস্থা ও পরিবেশ দেখতে মিয়ানমার যায় ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এর আগে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশে আসে মায়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি টানা সাত দিন পর্যটন জেলা কক্সবাজারের টেকনাফে প্রায় ১৫০ রোহিঙ্গা পরিবারের মোট ৪৮৬ সদস্যের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে। বিভিন্ন সময় মায়ানমারে জাতিগত দাঙ্গা ও সামরিক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের কারণে বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে। মিয়ানমার সেনা বাহিনীর হামলার জেরে সবচেয়ে বেশি আসে ২০১৭ সালে। সে সময় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

Next Article