নোয়াখালী: জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) ১৫৪ তম জন্মবার্ষিকী সাড়ম্বরে পালিত হল নোয়াখালীতে। বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা সোমবার, ২ অক্টোবর নোয়াখালীতে (Noakhali) অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী গান্ধী আশ্রম পরিদর্শন করেন এবং জাতির জনকের মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত ‘গান্ধিজিস কোয়েস্ট ফর পিস্ অ্যান্ড হারমনি ইন নোয়াখালী অ্যান্ড ইটস রিলেভ্যান্স ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্যও দেন।
গান্ধীজির শান্তি ও অহিংসার বার্তা বর্তমান যুগেও প্রাসঙ্গিক বলে সেমিনারের বক্তব্যে তুলে ধরেন হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, “মানবতার সহজাত মঙ্গলের প্রতি গান্ধীজির প্রত্যয় এবং পরিবর্তনের শক্তি হিসেবে শান্তি ও অহিংসার প্রতি তাঁর অটল বিশ্বাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়কার মতো আজও প্রাসঙ্গিক।” তিনি গান্ধীজির নোয়াখালী সফরের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “১৯৪৬ সালে নোয়াখালীতে গান্ধীজির ঐতিহাসিক সফর প্রতিবন্ধকতাময় ছিল। সেই পরিস্থিতিতেও তাঁর সংলাপ ও সকলের প্রতি সহানুভূতি অসাধারণ পরাক্রমের উদাহরণ সৃষ্টি করে। অহিংসা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নীতির প্রতি তাঁর অদম্য নিবেদন শুধু নোয়াখালীর বাসিন্দাদের সান্ত্বনা দেয়নি, মানবতার উপর অমোঘ চিহ্ন রেখে গিয়েছে।”
মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী শান্তি ও অহিংসার প্রতীক বলে উল্লেখ করেন হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, “প্রতি বছর মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদ্যাপন করা হয়, যা শান্তি, অহিংসা, সহনশীলতা ও বোঝাপড়ার মূল্যবোধের সার্ব্বজনীনতাকে পুনঃনিশ্চিত করে।” গান্ধীজির বার্তা তুলে ধরে প্রণয় ভার্মা বলেন, “কখনও হিংসা ন্যায় বিচার দিতে পারে না, সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানবতাবাদ সর্বদা জয়ী হবে- ভারতের এই দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বাসের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি হল আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস।”
১৯৪৬ সালে নোয়াখালীতে গান্ধীজীর সফরের সঙ্গে সম্পর্কিত স্মৃতিচিহ্ন প্রদর্শনকারী গান্ধী আশ্রমের জাদুঘর পরিদর্শন করেন হাই কমিশনার ভার্মা। গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টকে ভারতে গান্ধীবাদী অধ্যয়নের জন্য নিবেদিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিতভাবে সহযোগিতা ও আদান-প্রদান চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও উৎসাহিত করেন তিনি।