Cyclone Mocha: ‘মোখা’য় জলোচ্ছ্বাসে ডুবতে পারে সেন্ট মার্টিন, তছনছ হতে পারে কক্সবাজার, জারি সতর্কতা
Cyclone Mocha: পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। কক্সবাজারে শুক্রবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশ: ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ফের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের তরফে। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে বৃষ্টি হতে পারে সারাদেশেই। প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে রীতিমতো উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানা গিয়েছে। এর প্রভাবে সারা দেশের ৪ সমুদ্র বন্দরে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। শুক্রবারই আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেই তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোতে পারে মোখা। রবিবার দুপুরে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের কায়াকপুরের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে সেই ঝড়। গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার।
শুক্রবার সকালেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। পর্যটন এলাকার সব হোটেল ও রিসর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে সেন্ট মার্টিন থেকে পর্যটকসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের প্রায় পুরোটা জলোচ্ছ্বাসের সময় ডুবে যেতে পারে। চারপাশে বাঁধ না থাকায় ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। কক্সবাজারে শুক্রবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।