ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকায় রবিবার সকালে যান চলাচল শুরু হলো ১১ কিমি উড়ালপুল বা ফ্লাইওভারে। এই ফ্লাইওভারে উঠে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আসা যাবে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ফার্মগেট পর্যন্ত। তবে এই ফ্লাইওভারের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হল। গোটা প্রকল্পটি ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ। রাজধানীর উত্তর অংশের সঙ্গে দক্ষিণ অংশে যাওয়া সহজ হবে এই ফ্লাইওভার দিয়ে। যে রাস্তা দিয়ে যেতে ২-৩ ঘণ্টা সময় লেগে যেত। সেই পথই এই ফ্লাইওভারের মাধ্যমে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে ১৫ মিনিটে। এই ফ্লাইওভার যাতায়াতকারীদের ঢাকার যানজট থেকে মুক্তি দেবে বলে আশা ঢাকাবাসীর।
এই ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় বিমানবন্দর ঘিরে যানজটের ভোগান্তি কমবে বলে আশা ঢাকাবাসীর। আগামী বছর জুনে ফার্মগেট থেকে রাজধানীর দক্ষিণ-পূর্বাংশের কুতুবখালি পর্যন্ত বাকি অংশ চালু হলে পুরোপুরি সুফল মিলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উড়ালপুলের পুরোটা চালু হলে বদলে যাবে যানজটের নগরী ঢাকার দৃশ্যপট। বাংলাদেশের সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই উড়ালপুল দিয়ে তিন চাকা যান, সাইকেল এবং পথচারীরা চলাচল করতে পারবেন না। এমনকি মোটরসাইকেলও চালানো যাবে এই উড়ালপুলে। সেই সঙ্গে উড়ালপুলের মধ্যে যান থামানোতেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। উড়ালপুলে যান থামিয়ে ছবি তুললে শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে।
এই উড়ালপুলের উপর দিয়ে চলাচল করতে হলে টোল দিতে হবে। এ জন্য যানবাহনকে চার শ্রেণিতে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে টোল। এতে সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা করা হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চার শ্রেণির যানবাহনের মধ্যে গাড়ি, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (তিন টনের কম) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা, সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) ক্ষেত্রে ১৬০ টাকা, মাঝারি ধরনের ট্রাকের (ছয় চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা, আর বড় ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। রবিবার থেকে যান চলাচলের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়।