কলকাতা: বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম খুনে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজ্য পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনজন। ঢাকা থেকে সৈয়দ আমানুল্লাহ, মুস্তাফিজুর এবং ফয়সাল আলি নামে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা থেসে দেশের পুলিশ। এদের জেরা করে উঠে এসেছে নয়া নাম। সাংসদ খুনের ‘মাস্টার মাইন্ড’ ছিলেন আখতারুজাম্মান ওরফে সাহিন।
কে এই আখতারুজাম্মান?
জানা যাচ্ছে, আখতারুজাম্মান বর্তমানে মার্কিন নাগরিক। তাঁর মূল বাড়ি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ এলাকার কোটচাঁদপুরে। অভিযুক্তের ভাই ওই এলাকারই মেয়র। মৃত সাংসদের সঙ্গে আখতারুজাম্মানের ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল। আর তা থেকেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও জানা গিয়েছে, সাংসদ খুনের ঘটনায় যুক্ত প্রায় সাত জন। তার মধ্যে ছ’জনই বাংলাদেশি। অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে আখতারুজাম্মানের বান্ধবী শিলস্তি রহমান। খুনের আগে আখতারুজ্জামান নিজে কলকাতায় ফ্ল্যাটে পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী শিলস্তি। আখতারুজ্জামান দেশে না ফিরে নেপালে পালিয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
বাংলাদেশি পুলিশ সূত্রে খবর, আমানুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে ভাড়া করেন আখতারুজাম্মানই । খুনের জন্য দেওয়া হয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বরাত। অন্যদিকে এই আমানুল্লাহ আবার জিহাদ এবং সিয়াম নামে দু’জন বাংলাদেশি সঙ্গীকে চোরা পথে কলকাতায় নিয়ে আসে ভাড়া করা ফ্ল্যাটে থাকার জন্য। খুন করার উদ্দেশ্যে আমানুল্লাহ ভাড়া করে মুস্তাফিজুর এবং ফয়সাল নামের দুই ব্যক্তিকে। তদন্তে জানা যাচ্ছে, জিহাদ আর সিয়াম ছাড়া বাকিরা বৈধ নথি নিয়ে ভারতে এসেছিল। খুনের পর আলাদা আলাদা ভাবে ঢাকায় ফিরে যায়।
এখানেই শেষ নয়, সাংসদকে খুনের পর দেহ খণ্ড খণ্ড করে তুলে দেওয়া হয় ভারতীয় সঙ্গীকে। জেরায় বাংলাদেশি পুলিশের কাছে জানিয়েছে আমানুল্লাহ। অভিযুক্তর ভারতীয় খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে এ দেশের গোয়েন্দারা।