
প্রত্যেকের জীবনেই একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বিয়ে। পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই ভালোবাসার সুখের পরিণতি। বিশেষ দিনটির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা চলে। তেমনই নানা প্রত্যাশাও। কিছু ক্ষেত্রে নানা দুশ্চিন্তাও। বিয়ে শুধুমাত্র ভালোবাসার বন্ধনই নয়, দায়িত্বও। মিলে মিশে একটা জীবন সুন্দর করার অনেক দায়িত্বই থাকে। ধীরে ধীরে সুখের সংসার গড়ে ওঠে। দেশ-বিদেশে এই বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়েও নানা বৈচিত্র থাকে। ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেও নানা রীতি নীতি, সংস্কার। তেমনই অন্যান্য দেশেও। এমনই একটি বিয়ের রীতি যা চমকে দেবে। বিয়ের প্রথম রাত থেকেই বর-বউ উভয়েরই বাথরুমে যাওয়া বারণ! এই নিয়ম মানতে হয় তিন দিন! পরিস্থিতিটা অনুমান করতে পারছেন?
নতুন সংসার গড়ার আগে এমন কঠিন পরীক্ষা…। তবে সেটা ভারতে নয়। ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় বর্নেও অঞ্চলে তিদং উপজাতির মধ্যে এই রীতি রয়েছে। এই উপজাতির বিয়ের নিয়ম অনুযায়ী, বিয়ের পর নতুন বর-বউকে প্রথম তিন দিন শৌচাগার ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। তাদের বিশ্বাস, বিয়ের মতো পবিত্র একটি বিষয়ের পর শৌচাগারে যাওয়া দুর্ভাগ্য বয়ে আনে। উপজাতির সকলের সুরক্ষা-নিরাপত্তার কথা ভেবে এই নিয়ম মানা হয়। নবদম্পতিকে কড়া নজরে রাখা হয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের পর তাঁদের তালাবন্ধ করেও রাখা হয় যাতে এই নিয়ম না ভাঙে।
এই নিয়ম মানতে আরও উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনদিন শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারা নিঃসন্দেহে বিরাট চ্যালেঞ্জের বিষয়। অনেকের কল্পনাতেও আসবে না। আদৌ তিনদিন এভাবে কাটানো সম্ভব! চ্যালেঞ্জটা যাতে একটু হলেও কম হয়, সে কারণে নবদম্পতি খুবই সামান্য পরিমাণে খাবার এবং জল দেওয়া হয়। যাতে শৌচাগার ব্যবহারের প্রয়োজনই না আসে। এর ফলে স্বাস্থ্যের যে ঝুঁকি থাকে এ আর বলার প্রয়োজন পড়ে না। প্রস্রাব-মল আটকে রাখা যে কতটা ঝুঁকির এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তিদং উপজাতি এই রীতি শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে আসছে।
প্রথম তিনটে দিন কাটিয়ে দিলেই সাফল্যের উদযাপন করে নব দম্পতি। তিদং উপজাতির মানুষদের আরও বিশ্বাস, যাঁরা এই রীতি নিষ্ঠা সহকারে পালন করে, তাঁদের সংসার সুখের হয়। বিবাহ জীবন খুবই সুন্দর হয়।