
অটোয়া: কানাডায় মিটেছে নির্বাচন। ফের ঝড় তুলেছে লিবারল পার্টি। মঙ্গলবার ছিল ফলাফল ঘোষণা। তাতেই ফুটে উঠল উদারপন্থী লালেদের চতুর্থবারের জয় গাঁথা। আপাতত কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন মার্ক কার্নি। জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের মাস কয়েক পরেই নির্বাচিত হয়েছিল তাঁর নাম।
কত ভোটে জিতল লিবারলরা?
কানাডার নির্বাচনে ‘লাল ঝড়’ উঠলেও, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৈরি করতে পারেনি লিবারল পার্টি। ৩৪৩টি আসনের কানাডিয়ান সংসদে লিবারল পার্টি পেয়েছে ১৬৭টি আসন। অন্যদিকে ১৪৫টি আসন পেয়েছে কনসার্ভেটিভরা। ২৩টি আসন পেয়েছে ব্লক কুয়েবেকসিস পার্টি। নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পেয়েছে ৭টি আসন ও গ্রিন পার্টি পেয়েছে ১টি আসন।
কানাডার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৈরির জন্য মোট ১৭২টি আসন প্রয়োজন। যেহেতু লিবারল তা জয় করতে পারেনি, সেই ভিত্তিতে সম্ভবনা তৈরি হচ্ছে, হয়তো ব্লক কুয়েবেকসিস পার্টিকে নিয়ে জোট সরকার তৈরি করতে পারে তারা।
কোন ফ্যাক্টরে জিতল লিবারলরা?
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আসরে নেমেই চলতি নির্বাচনে ডিভিডেন্ড তুলে নিয়েছে লিবারলরা। গত কয়েক মাস আগেই কানাডার বিরুদ্ধে শুল্কযুদ্ধের ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলা যেতে পারে, কানাডা,চিন ও মেক্সিকোই এমন দেশ যাদের উপর প্রথম শুল্কবাণ ছুড়েছিলেন ট্রাম্প। আর চলতি নির্বাচন সেটাকে হাতিয়ার করেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছিল কার্নির দল।
ভারতের কী লাভ?
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, ট্রুডো ‘জেদী’ হলেও, মার্ক কার্নি কিন্তু তেমন নয়। বছর কতক আগেই নিজ্জর-কাণ্ডের জেরে ট্রুডোর সময়কালে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে কানাডার। এবার সেই দেশে প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন, সেই বিষিয়ে যাওয়া সম্পর্ককে সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে বলেও অনুমান একাংশের।