
নয়াদিল্লি: ঘাত-প্রত্যাঘাত। বন্দুক ছাড়াই যেন যুদ্ধে নেমে পড়েছে চিন-আমেরিকা। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে মার্কিন পণ্যের উপর আরও ৪১ শতাংশ শুল্ক চাপাল চিনের অর্থমন্ত্রক। যার জেরে আমেরিকার উপর চিনের চাপানো শুল্কের পরিমাণ ৮৪ শতাংশ থেকে গিয়ে দাঁড়াল ১২৫ শতাংশে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চিনা পণ্যে শুল্ক-বৃদ্ধির পাল্টাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং।
বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনের উপর শুল্ক ১০৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ। আবার সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই অঙ্ক কষে সেই শুল্ককে আরও কয়েক দফা বাড়িয়ে দেন ট্রাম্প। শেষমেশ চিনের উপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪৫ শতাংশ। তাতেই চটেছে বেজিং। পাল্টা শুল্ক বাড়িয়েছে তারাও।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের এমন কথায় কথায় শুল্ক বাড়ানো নিয়ে কিন্তু ক্ষেপে গিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর আগে তিনি ‘টিট ফর ট্যাটের’ হুঙ্কার তুলে ‘একা লড়ার’ পক্ষপাতী থাকলেও, পরপর আঘাতে অনেকটাই ‘দুর্বল’ হয়েছে চিন, মত একাংশের। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘লড়তে’ তাই এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান দিয়েছেন জিনপিং।
দুই দেশের এমন আচরণ দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘাত-প্রত্যাঘাতের জেরে চিন-আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকবে। যা আগামী কয়েক দশকে আবার পুনরুদ্ধার করা যাবে কি না সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
তবে চিনকে যখন শুল্ক দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে আমেরিকা। সেই আবহে কিন্তু বিশ্বের বাকি দেশগুলিকে কিছুটা রেহাই দিয়েছেন তিনি। বুধবার হোয়াইট হাউস তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, চিন বাদে আপাতত সমস্ত দেশকে ট্যারিফ বা শুল্ক থেকে রেয়াত দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৯০ দিন পড়বে না শুল্কের আঘাত। রেসিপ্রোকাল ট্য়ারিফ বা পারস্পরিক শুল্ক নীতিতেই বাণিজ্য করবে আমেরিকা।