Pakistan Murder: বাড়ির বাইরে ছড়িয়ে টুকরো টুকরো দেহবশেষ, গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন মহিলাকে গ্রেফতার পুলিশের
pakistan murder: অভিযুক্ত মহিলাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত মহম্মদ সোহেল, তাঁর স্বামী ছিলেন। কিন্তু পরেই ওই মহিলা নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেছেন এবং জানিয়েছেন মৃত ব্যক্তি তাঁর স্বামীর ভাই।
করাচি: কখনও কখনও হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা দেখে শিউরে উঠতে হয়। এমনই এক নির্মম নরহত্যার ছবি সামনে এসেছে পাকিস্তানে। করাচির এক ফ্ল্যাটের বাইরে ৭০ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়রে দেহের বিভিন্ন অংশ টুকরো আকারে পাওয়া গিয়েছে। ওই ফ্ল্যাটে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন মহিলাকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের পুলিশ আধিকারিকরা।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার জুবায়ের নাজির শেখ বলেন, “আমাদের কাছে ফোন এসেছিল। বলা হয়েছিল সদ্দার এলাকার একটি ফ্ল্যাটের বাইরে এক ব্যক্তি হাত দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এরপর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেই তাঁরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন এক মহিলাকে খুঁজে পান। সেই মহিলার সামনে দেহের বেশ কিছু অংশ পড়েছিল এবং সমগ্র ফ্ল্যাট জুড়ে বাকি অংশ টুকরো টুকরো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।”
পুলিশ জানিয়েছে, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে ওই মহিলাই প্রধান সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছেন। ওই মহিলার নাম জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর কবে ওই খুন করা হয়েছে, তার কোনও নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি। তবে আন্দাজ করা হচ্ছে এই সপ্তাহেই ওই প্রৌঢ়কে হত্যা করা হয়েছে। নাজির শেখ জানিয়েছেন, “মহিলার খুনে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ওই মহিলার গায়ে রক্ত লেগেছিল, এবং খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।” ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি রক্তমাখা ছুরি, একটি হাতুড়ি ও অন্যান্য ধাতব সামগ্রী উদ্ধার করেছে।
অভিযুক্ত মহিলাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত মহম্মদ সোহেল, তাঁর স্বামী ছিলেন। কিন্তু পরেই ওই মহিলা নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেছেন এবং জানিয়েছেন মৃত ব্যক্তি তাঁর স্বামীর ভাই। জানা গিয়েছে ওই মহিলাকে আচ্ছন্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ মনে করছে, ওই মহিলা হয়ত কোনও মাদকজাতীয় পদার্থ নিয়েছিলেন। ঘটনার তদন্ত করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশিদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত ব্যক্তি ও ওই মহিলা একসঙ্গেই থাকতেন। মাঝে মধ্যেই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হত।