AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tornedo in Kentucky: ধূলিসাৎ বাড়িঘর, ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে শোনা যাচ্ছে আর্তনাদ! সাড়ে চার ঘণ্টার টর্নেডোয় মৃত কমপক্ষে ৭০

At Least 70 dead as Tornedo hits Kentucky: কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসহিয়ার বলেন, "কেন্টাকির ইতিহাসে সবথেকে ভয়ঙ্কর ও বিধ্বংসী টর্নেডো ছিল এটি। কমপক্ষে ১০০ জনের মৃ্ত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানিনা কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।"

Tornedo in Kentucky: ধূলিসাৎ বাড়িঘর, ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে শোনা যাচ্ছে আর্তনাদ! সাড়ে চার ঘণ্টার টর্নেডোয় মৃত কমপক্ষে ৭০
ঝড়ের পর চারিদিকে কেবল ধ্বংসস্তূপই নজরে পড়ছে। ছবি:টুইটার
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2021 | 7:45 AM
Share

মেফিল্ড: মাথায় উপর থেকে উড়ে গিয়েছে ছাদ, তালগোল পাকিয়ে রয়েছে যাবতীয় সামগ্রী। ভেঙে পড়া বাড়িঘরের নীচ থেকেই শোনা যাচ্ছে আর্তনাদ। প্রায় এক ডজন টর্নেডো(Tornedo)-এ রাতারাতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে আমেরিকার একের পর এক শহর, রাজ্য। দিনের আলো ফুটতেই শুরু করা হয়েছে উদ্ধারকার্য। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন(Joe Biden)-ও এই টর্নেডোকে ইতিহাসের অন্যতম বড় টর্নেডো বলে অ্যাখা দেন।

শুক্রবার মধ্যরাতেই টর্নেডো আছড়ে পড়েছিল কেন্টাকি (Kentucky) রাজ্যে। ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। শনিবার উদ্ধারকার্য শুরু হতেই বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। এখনও অবধি কমপক্ষে ৭০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টর্নেডো নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিভিশন বার্তায় বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা এখনও জানিনা যে কতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণই বা কতটা।”

স্থানীয় সময় অনুযায়ী শুক্রবার মধ্যরাতেই একাধিক টর্নেডো আছড়ে পড়ে। ঝড়ে সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কেন্টাকিতেই। কেবল সেখানেই ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই একটি মোমবাতি কারখানার কর্মী ছিলেন। ঝড়ে গোটা কারখানার ছাদ উড়ে যাওয়ায় এবং কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ায় বহু কর্মী আহত ও মারা গিয়েছেন। ইলিওনিসের অ্যামাজনের ওয়ারহাউসেও কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে ৪০০ কিমি বেগে টর্নেডো বয়ে গিয়েছে আরকানসাস থেকে কেন্টাকি অবধি। মিসৌরি ও ইলিওনিসও রক্ষা পায়নি। ঝড়ের সতর্কতা থাকলেও, তা এতটা ভয়ঙ্কর আকার নেবে, তা কল্পনা করা যায়নি।  শনিবার সকাল থেকে উদ্ধারকার্য শুরু হতেই ক্ষয়ক্ষতির টের পাওয়া যায়। মাইলের পর মাইল জুড়ে কেবল ভেঙে পড়া বাড়িঘরই দেখতে পাওয়া যায়। ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই স্বজন পরিজনদের খুঁজতে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসহিয়ার বলেন, “কেন্টাকির ইতিহাসে সবথেকে ভয়ঙ্কর ও বিধ্বংসী টর্নেডো ছিল এটি। কমপক্ষে ১০০ জনের মৃ্ত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানিনা কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”

মেফিল্ডের পশ্চিম কেন্টাকি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ঝড়ের দাপটে এবং গাছ উপড়ে পড়ায় শতাধিক বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট, মাঠে গাড়ি উল্টে পড়তে থাকতে দেখা যায়। কেন্টাকির যে মোমবাতির কারখানা ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে, সেখানে শুক্রবার রাত্রের শিফটে কাজ করছিলেন ১১০ জন কর্মী। এখনও অবধি ৪০ জনকে উদ্ধার করা হলেও, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আর কারোর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

কেন্টাকিতে প্রায় ২০০ মাইল জুড়ে টর্নেডোর দাপট চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে আমেরিকায় দীর্ঘতম টর্নেডো হয়েছিল ১৯২৫ সালে, মিসৌরিতে ২১৯ মাইল জুড়ে সেই টর্নেডো হয়েছিল। সেই বিপর্যয়ে ৬৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

আরও পড়ুন: India helps Afghanistan: আফগানিস্তানে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে ভারত, জানাল বিদেশমন্ত্রক