Donald Trump: ট্রাম্প শপথ নিচ্ছেন, আর হাততালি দিচ্ছেন শি জিনপিং, এও সম্ভব!
Donald Trump: ট্রাম্পের হবু প্রেস সচিব ক্যারোলিনা লেভিট জানিয়েছেন, 'হ্যাঁ, প্রেসিডেন্ট জিনপিং-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ট্রাম্প আন্তরিকভাবে চাইছেন, উনি আমেরিকায় আসুন।' তবে নিমন্ত্রণ পেয়ে শি জিনপিং-য়ের ঠিক কী অবস্থা হয়েছিল?
নয়া দিল্লি: আমাদের কাছে গৃহপ্রবেশ। আর ওদের কাছে সেটাই INAUGUARATION। অর্থাত্ নতুন প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউসে প্রবেশ। আনুষ্ঠানিক শপথ নেওয়ার দিন। দিনটা হল ২০ জানুয়ারি, ২০২৫। ওইদিন কী সেই ঐতিহাসিক দৃশ্যটা ক্যামেরাবন্দি হবে? ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ঢোকার আগে শপথ নিচ্ছেন। বক্তব্য রাখছেন, আর দর্শকদের মধ্যে বসে রয়েছেন শি জিনপিং, চিনের প্রেসিডেন্ট। অল্প, অল্প হাততালিও দিচ্ছেন। এও সম্ভব?
ট্রাম্প কিন্তু চাইছেন সেটাই সম্ভব করতে। এমন একটা দৃশ্য তৈরি করতে। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে প্রথম নিমন্ত্রণটা করে বসলেন শি জিনপিং-কে। তাও আবার প্রথা মেনে আমেরিকায় চিনা দূতাবাসের মাধ্যমে নয়। শি জিনপিংয়ের দফতরে সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘ইন ওয়েটিং’।
ট্রাম্পের হবু প্রেস সচিব ক্যারোলিনা লেভিট জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, প্রেসিডেন্ট জিনপিং-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ট্রাম্প আন্তরিকভাবে চাইছেন, উনি আমেরিকায় আসুন।’ তবে নিমন্ত্রণ পেয়ে শি জিনপিং-য়ের ঠিক কী অবস্থা হয়েছিল? বমকে গিয়েছিলেন! তা না হলে, তিনি জরুরি ভিত্তিতে উপদেষ্টাদের ডেকে তাঁদের মতামত নিতেন না।
হ্যাঁ, জিনপিং মতামত নিয়েছেন। আর উপদেষ্টারা সাফ বলে দিয়েছেন, এটা নিছক একটা ফাঁদ। জেনে বুঝে তাতে পা দেওয়া দিলে ভুগতে হবে। কেন? তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন, দু-দেশের সম্পর্ক কোন খাতে বইবে, সেটা প্রবল অনিশ্চিত। ওখানে তাইওয়ান সহ অন্য দেশের প্রতিনিধিরাও তো থাকবেন। এই অবস্থায় জিনপিং আমেরিকায় যেতে পারেন না। আর শপথগ্রহণে যাওয়া মানে স্রেফ অতিথি হয়ে বসে থাকা। চিনের প্রেসিডেন্ট সেটা করতে পারেন না। তাই জিনপিংয়ের এখন আমেরিকা না যাওয়াই ভাল।
চিনে নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিনিধি কিথ ব্র্যাডশোরের দাবি, ট্রাম্পের গৃহপ্রবেশে যেতে জিনপিংয়ের আপত্তি ছিল না। কিন্তু উপদেষ্টারা একযোগে বারণ করার পর আর তিনি ওমুখো হচ্ছেন না। অন্তত এখন তো নয়ই। তবে ট্রাম্প যেভাবে এই গুগলি দিলেন, তাতে তাবড় কূটনৈতিক মহল অবাক। তাঁরা বলছেন, ট্রাম্পের উপদেষ্টারা যদি এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তাহলে ট্রাম্পের এখনই তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। আর যদি নিজের বুদ্ধিতে ট্রাম্প এই কাজ করেন, তা হলে আরও বুঝেসুজে কাজ করা দরকার। সেকেন্ড ইনিংসে বুঝেসুজে করার বদলে ট্রাম্প যেন আরও, আরও আগ্রাসী!
একের এক এক বিস্ফোরক পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছেন তিনি। আমেরিকার নিয়মে দু-বারের বেশি কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারে না। ট্রাম্প সেই নিয়ম, সেই প্রথাও বদলাতে চাইছেন।