
ওয়াশিংটন: আমেরিকা ও চিনের ‘শুল্ক-যুদ্ধ’। এবার আমেরিকায় রফতানিকৃত চিনা পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ২৪ ঘণ্টা সময়সীমার মধ্যে চিন মার্কিন পণ্যে ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করাতেই চরম পদক্ষেপ করল হোয়াইট হাউস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০৪ শতাংশ শুল্ক দিতে হলে আমেরিকায় চিনা পণ্যের দাম অনেকটাই বাড়তে পারে।
আমেরিকা ও চিনের এই শুল্ক-যুদ্ধের সূত্রপাত সপ্তাহ খানেক আগে। মার্চ পর্যন্ত আমেরিকায় রফতানিকৃত চিনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক দিতে হত। গত ২ এপ্রিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনা পণ্যে অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেন। যার ফলে আমেরিকায় রফতানিকৃত চিনা পণ্যে শুল্ক গিয়ে দাঁড়ায় ৪৪ শতাংশ। আবার ট্রাম্পের ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, সমস্ত দেশের পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হচ্ছে। ফলে চিনের পণ্যে শুল্ক গিয়ে পৌঁছায় ৫৪ শতাংশ।
এরপর চিনও তাদের দেশে রফতানিকৃত আমেরিকার পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক বসায়। চিনের এই পদক্ষপকে প্রতিশোধমূলক সিদ্ধান্ত বলে বর্ণনা করে হোয়াইট হাউস। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য বেজিংকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেন ট্রাম্প। না হলে আরও ৫৪ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দেন। কিন্তু, নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার বার্তা দেয় চিন। তারপরই ট্রাম্প চিনা পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছেন, প্রতিশোধমূলক যে শুল্ক চাপিয়েছিল চিন, তারা তা প্রত্যাহার করেনি। তাই চিনের পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল। বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে চিনের সমস্ত পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক নেওয়া হবে বলে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকায় চিনা পণ্যের দাম বাড়তে পারে। দুই দেশের শুল্ক-যুদ্ধে ‘ছ্যাঁকা’ লাগবে সাধারণ মানুষের।