
ওয়াশিংটন: মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবি বলেছেন, ইজরায়েল-ইরান হামলায় যোগ নেই আমেরিকার। কোনও রকম উস্কানি দেয়নি তারা। যখন আমেরিকাকে এই সংঘাত থেকে দূরে টেনে আনতে চাইছেন রুবিও। সেই আবহে ট্রাম্পের গলায় শোনা যাচ্ছে অন্য সুর। অবশ্য, তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট। সুতরাং, তার নীতিই যে শেষ নীতি এই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।
কী এমন করলেন ট্রাম্প?
দূরত্ব ঘুঁচিয়ে ইরানকে হুঁশিয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এদিন নিজের ট্রুথ হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমি ইরানকে একটার পর একটা সুযোগ দিয়েছি। ইতিমধ্যে, সেই দেশে মৃত্যুমিছিল দেখা গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে রাজধানী। কিন্তু এই হানাকে রোখার জন্য তাদের কাছে এখনও সুযোগ রয়েছে।’
ট্রাম্পের সংযোজন, ‘পরবর্তী আক্রমণগুলি আরও নৃশংস হবে। সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে পারমাণবিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ফেলুন। নইলে পরের ইজরায়েলি হামলায় আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।’
ইজরায়েলি হামলা ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছে সেদেশের ইরানের রেভেলিউশনারি গার্ডের প্রধান বা সেনাপ্রধান হোসেন সালামি। অবশ্য, তার মৃত্যুর পরেই দেশের সেনাকে যুদ্ধপরিস্থিতিতে সামলাতে নতুন প্রধান নিয়োগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই। সেনাপ্রধান ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে ছয় পরমাণু বিজ্ঞানীরও। ট্রাম্পের দাবি, ‘ইরানের শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যেই মৃত। ভবিষ্যৎ সঙ্কটে রয়েছে। কিন্তু এখনও সময় রয়েছে। চুক্তির পথে হাঁটুন।’