
ওয়াশিংটন: প্রতিশোধটা কি তবে নিয়েই নিলেন তিনি? গত সপ্তাহেই ওভাল অফিসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বচসায় জড়ান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তারপর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ‘হামলা’। তাও আবার সরাসরি ট্রাম্পকে নয়। তাঁর সতীর্থ ইলন মাস্ককে।
সোমবার মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক অভিযোগ করলেন, কেউ বা কারা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম এক্স, সাবেক টুইটারে একাধিকবার সাইবার হামলা করেছে। যা হয়েছে মূলত ইউক্রেন সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে। গত সপ্তাহের ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বচসা। তারপরেই এমন সাইবার হামলা হতেই যথারীতি জেলেনস্কি অনুগামীদের দিকে পড়েছে সন্দেহের চোখ।
সোমবার এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘আমরা জানি না ঠিক কী হয়েছে। কিন্তু এটা ঠাওর পারা গিয়েছে যে একটা ভয়াবহ সাইবার হামলা চলেছিল। যার জেরে ধসে যেতে পারত গোটা এক্স মাধ্যম। আমাদের সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই হামলাটা সম্ভবত ইউক্রেন সংলগ্ন এলাকা থেকেই হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন সব হামলার মুখে আমরা প্রতিদিনই পড়ে থাকি। কিন্তু এই হামলাটা আর সকল হামলাগুলির থেকে অনেকটা আলাদা।’ মাস্কের বয়ানের পরেই হামলা ঘিরে জেলেনস্কি-পন্থীদের দিকে সন্দিহান নজর পড়লেও, পরে জানা যায়, এই হামলা আসলে অন্য কারওর কাজ।
এদিন একটি পাবলিক টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্যালেস্টাইন-পন্থী এক দল দাবি করে, এই হামলাটা আসলে তাদেরই করা। যে সকল দেশ ইজরায়েলকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে সাহায্য করছে তাদের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা করে থাকে এই দলটি।