
মস্কো: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙে পড়ল দু’টি সেতু। যার জেরে লাইনচ্যুত ট্রেন। মৃত কমপক্ষে সাত। আহতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলেছে ৭০-এর গন্ডি। চরম বিপর্যয় রাশিয়ায়।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, রবিবার ইউক্রেন সীমান্ত ঘেঁষা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক প্রদেশে একটি সেতু নীচে রেললাইনের উপর আচমকা ভেঙে পড়ে। যার জেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় সেই ট্রেনটি। ছিটকে ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বেশ কয়েকটি কামরাও। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে রুশ রেলওয়ে। তাদের টেলিগ্রাম বার্তায় কোনও বিশেষ কারণ না দর্শালেও প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে গোটা ঘটনায় বহিরাগত হস্তক্ষেপ রয়েছে। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার কূল কিনারা খুঁজে পেতে শুরু হয়েছে তদন্তও।
গতকাল অর্থাৎ শনিবারও ঠিক একই ভাবে রাশিয়ার ঝেলেজনোগর্স্ক জেলায় একটি মালবাহী ট্রেন সেতু দিয়ে যাওয়ার সময়ই হঠাৎ করে তা ভেঙে পড়ে। যার জেরে ভাঙা সেতু থেকে ঝুলে পড়ে মালবাহী ট্রেনটি। আগুন ধরে যায় চালকের ঘটনায়। দু’টি ঘটনাই যে অত্যন্ত মর্মাহত সেই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। কিন্তু কোন গলদের কারণে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল?
Near the city of Zhelesnogorsk, Kursk region, in Russia this rail bridge was destroyed when a cargo train was passing over.
The Russian rail network is essential for the Russian military and economy. pic.twitter.com/7FocvTbfjb
— (((Tendar))) (@Tendar) June 1, 2025
ইতিমধ্যে রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স এজেন্সিকে তদন্তভার দিয়েছে মস্কো। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই তারা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে তারা জানিয়েছে, কোনও রকম বিস্ফোরণের কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এই রিপোর্টের পর থেকেই সন্দেহের তীর গিয়ে পড়েছে ইউক্রেনের দিকে।
রবিবার জেলেনস্কির সেনা তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে তারা জানিয়েছে, ‘ক্রিমিয়া যাওয়ার পথে একটি মালগাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।’ কিন্তু সেই বিবৃতিতে সেতু ভাঙা কিংবা রেল লাইনচ্যুত হওয়ার মতো কোনও শব্দের ব্যবহার করেনি তারা। পাশাপাশি, এই ঘটনায় দায় যে তাদের তেমনটাও বলেনি। কিন্তু এই বিবৃতি যে ইঙ্গিত পূর্ণ, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন রুশ আধিকারিকরা।