Abortion Constitutional Right: গর্ভপাত মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দিল ফ্রান্স

France PM: গর্ভপাতের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটার বলেন, "বিশ্বের এক নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। আমরা সমস্ত মহিলাদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছি যে, আপনার শরীর আপনার এবং কেউ আপনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।" ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিশ্বের কাছে বিশেষ বার্তাবহ।

Abortion Constitutional Right: গর্ভপাত মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দিল ফ্রান্স
প্রতীকী ছবি।Image Credit source: pixabay
Follow Us:
| Updated on: Mar 05, 2024 | 12:13 PM

প্যারিস: যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। গর্ভপাতের অধিকার রয়েছে মহিলাদের। এবার মহিলারাই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সোমবারই মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স। যাকে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলা যায়। ফ্রান্সই বিশ্বের প্রথম দেশ, যেখানে গর্ভপাতের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হল।

গর্ভপাতের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সোমবারই ফ্রান্সের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে যৌথ ভোটাভুটি হয়। গর্ভপাতকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ভোট পড়ে ৭৮০টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৭২টি। স্বাভাবিকভাবেই এটি স্বীকৃতি পেতে সমস্যা হয় না। ফ্রান্সের পার্লামেন্টে গর্ভপাত সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ার পরই উল্লাসে মেতে ওঠেন প্যারিসের মহিলারা। গর্ভপাতের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটার বলেন, “বিশ্বের এক নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। আমরা সমস্ত মহিলাদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছি যে, আপনার শরীর আপনার এবং কেউ আপনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।” ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিশ্বের কাছে বিশেষ বার্তাবহ।

ফ্রান্সে দীর্ঘদিন ধরেই মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার দেওয়ার দাবি উঠেছিল। ১৯৭৪ সালে এই বিষয়ে আইনও প্রণয়ন হয়েছে। কিন্তু, ডানপন্থীরা এর তীব্র বিরোধিতা করেছে। তারপর বিষয়টি নিয়ে অনেক সমীক্ষা করা হয়ে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮৫ শতাংশ লোক এই বিষয়টিকে সমর্থন করেছে। অবশেষ সোমবার সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনের ভিত্তিতে মহিলাদের গর্ভপাতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হল।

গ্যাব্রিয়েল সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফ্রান্সের মহিলাদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। সোমবার সন্ধ্যাতেই প্যারিসের বিভিন্ন সংগঠনের মহিলা সদস্যরা আইফেল টাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে ‘মাই বডি মাই চয়েস’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে উল্লাসও করেন। আলো ও আতস বাজিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে আইফেল টাওয়ার।