
থ্যাঙ্কলেস জব! অনেকের ক্ষেত্রে মনে হতেই পারে, টাকা তো উপার্জন করে। কিন্তু পাইলটদের জীবনে অনেক কিছু মিসিংও। বিমানের যাত্রীরা যেভাবে সফর করেন, পাইলটরা এমন অনেক জিনিস ব্যবহারই করতে পারেন না। যা আপাত দৃষ্টিতে খুবই সাধারণ জিনিস। সফর সুন্দর হলে স্বস্তি। দুর্ঘটনা হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায়ী করা হয় পাইলটদেরই।
বিমানে উঠলেই নাকে আসে সুন্দর গন্ধ। মনটা ভালো হয়ে যায়। যাঁরা নিয়মিত বিমানে যাতায়াত করেন, তাঁদের কাছে সাধারণ বিষয়। প্রথম বার কিংবা যাঁরা নিয়মিত নন, তাঁদের কাছে মিষ্টি গন্ধ মন ভালো করা। কিন্তু আপনার পাশ দিয়ে কোনও পাইলট কিংবা এয়ারহোস্টেসের শরীর থেকে কি এমন সুন্দর গন্ধ পেয়েছেন? হয়তো খেয়াল করেননি। তাঁদের শরীর থেকে পারফিউমের গন্ধ পাবেন না। এর নেপথ্যে রয়েছে বিশেষ কারণও।
পাইলটই শুধু নন, এয়ারহোস্টেস, বিমানে থাকা অন্যান্য ক্রু মেম্বারদের শরীর থেকেও পারফিউমের গন্ধ পাবেন না। তার কারণ, তাঁরা এগুলো ব্যবহারই করতে পারেন না। সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিয়মের জন্যই পারফিউমের মতো অনেক কিছুই ব্য়বহার করা বারণ। বিশেষ কিছু জিনিস যেমন পারফিউম, স্যানিটাইজার, মাউথওয়াশ, টুথপেস্ট এমনকি কিছু মেডিসিনও ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না বিমানের ভিতর দায়িত্বে থাকা কর্মীদের। এর নেপথ্যে কী কারণ?
বিমান চালানোর ক্ষেত্রে পাইলটদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল, মনসংযোগ। তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন কোনও জিনিস ব্যবহারের নিয়ম নেই। এর নেপথ্যে বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। সে জন্যই নিয়ম করা হয়েছে।
ফ্লাইটে ওঠার সময় পাইলট সহ অন্যান্য় ক্রু মেম্বারদের ব্রিথ অ্যানালাইজার্স টেস্ট করা হয়। তাতে পাশ করতে না পারলে তাঁকে উঠতে নাও দেওয়া হতে পারে। এমনকি নিষিদ্ধ করা হতে পারে তাঁকে। করা হতে পারে মোটা অঙ্কের জরিমানাও। এই পরীক্ষার কারণ, তাঁরা অ্যালকোহল পান করেননি তো? সেটা হলে যাত্রীদের বিপদ।
যে জিনিসগুলো তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন না…