Bangladesh Unrest: ‘গাছে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দিল…’, ১৯-২০ বছরের ছেলেদের হাতে নিহত বাংলাদেশি হিন্দু দীপুকে চেনেন?

Bangladesh News Update: শুক্রবার এই ঘটনায় ভালুকা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'দৈনিক ইত্তেফাক'-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভালুকা থানার অফিসার রিপন মিয়া জানিয়েছেন, 'ধর্মীয় কটূক্তি করার কারণে এই হামলা করা হয়েছে বলেই শুনলাম। তদন্ত চলছে।' এই ঘটনার নিন্দা করে সরব হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও।

Bangladesh Unrest: গাছে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দিল..., ১৯-২০ বছরের ছেলেদের হাতে নিহত বাংলাদেশি হিন্দু দীপুকে চেনেন?
নিহত দীপু চন্দ্র দাসImage Credit source: X

|

Dec 21, 2025 | 1:45 AM

ঢাকা: দীপু চন্দ্র দাস। বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায়। সেখানেই একটি পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট ফ্যাক্টারিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ উত্তাল হলে সেই প্রভাব পড়ে এই ব্যক্তির উপরে। দীপু সাধারণের ঘরের ছেলে। বয়স মেরেকেটে ২৫। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ধর্মীয় অবমাননার। এরপর আইনি পথে সমাধান নয়, বরং আইন হাতে তুলে নিল একদল চরমপন্থী।

হিন্দু ঘরের ছেলে দীপুকে প্রথমে গণধোলাই। তারপর খুন। অবশেষে গাছে বেঁধে জ্বালিয়ে দিলেন ওই দুষ্কৃতীরা। যা ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। ফের আন্তর্জাতিক স্তরে একবার প্রশ্নের মুখে পড়ল ইউনূস সরকার। ‘নতুন বাংলাদেশে’ কি জায়গা নেই হিন্দুদের? এমনই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন একাংশ।

এদিন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে সাক্ষাৎকারে দীপু চন্দ্র দাসের বাবা রবিলাল দাস জানিয়েছেন, ‘সমাজমাধ্য়মে প্রথমে ঘটনার কথা জানতে পারি। পরে লোকজন জানায়, ওকে নাকি কয়েকজন পিটিয়েছে। পরে আবার আমার ভাই জানায়, দীপু আর নেই। গাছে বেঁধে কেরোসিন ঢেলে ওঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই দৃশ্য সত্যি বিভীষিকাময়।’

শুক্রবার এই ঘটনায় ভালুকা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভালুকা থানার অফিসার রিপন মিয়া জানিয়েছেন, ‘ধর্মীয় কটূক্তি করার কারণে এই হামলা করা হয়েছে বলেই শুনলাম। তদন্ত চলছে।’ এই ঘটনার নিন্দা করে সরব হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও। এদিন নিজের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে নিন্দা জানাই। নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের সহিংসতার কোনও স্থান নেই। এই নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তরফে জানা গিয়েছে, ময়মনসিংহের এই নৃশংস ঘটনার পর ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব বা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। ধৃতদের নাম মহম্মদ লিমন সরকার, তারেক হোসেন, মানিক মিয়া, এরশাদ আলি, নিজুম উদ্দিন, আলমগীর হোসেন এবং মিরাজ হোসেন। শেষ দু’অভিযুক্ত বাদে প্রত্যেকেই ১৯-২০ বছরের। তাঁদের হাতেই ‘খুন’ হয়েছেন দীপু চন্দ্র দাস, এমনটাই অভিযোগ।